আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ২৪ নভেম্বর : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত কাউন্সিলরের জামিনের আবেদন খারিজ করল জেলা জজ কোর্ট। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরের নাম প্রিয়নাথ সাউ। তিনি বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন। অভিযোগ, একমাস হয়ে গেলেও অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে গ্রেফতার না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে নানা মহলে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর বীরভূমের রামপুরহাট থানার প্রিয়নাথ সাউয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের ফলে তার পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তারপর ঘাতপ্রতিঘাত সহ্য করে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন তরুণী। কিন্তু একমাস হতে চলল পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করায় হতাশ তরুণী। আদালতের বিচারে পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করে পুলিশের ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করেন তরুণী। ৩ নভেম্বর সিউড়ির জেলা জজ কোর্টে জামিনের আবেদন করেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রিয়নাথ সাউ ওরফে টিঙ্কু। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর হেয়ারিং ছিল, কিন্তু ১৩ নভেম্বর অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল। মামলায় অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রিয়নাথ সাউয়ের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।
সরকারি আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তরুণীর উপস্থিতিতে বিচারক উভয় পক্ষের মতামত শুনে জামিন খারিজ করে দেন”।
তরুণীর অভিযোগ, অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরে। প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। অথচ রামপুরহাট থানার পুলিশ বা তদন্তকারী আধিকারিক তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না। আসলে শাসক দলের প্রভাবশালী কাউন্সিলর হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না রামপুরহাট থানার পুলিশ। গ্রেফতার না করার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে।”
বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ দেখাতে কাউন্সিলরকে বহিস্কার করা হয়েছে। পরে ওই বিধায়কই গোপনে গ্রেফতার না করার জন্য পুলিশকে চাপ দিচ্ছে। আমার মনে হয় তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের সখ্যতা রয়েছে। তাই মোবাইল এবং সমাজমাধমে সব সময় যুক্ত থাকলেও পুলিশ কাউন্সিলরকে গ্রেফতার না করে জামিন পেতে সাহায্য করছে।”

