চিন্ময় ভট্টাচার্য, আমাদের ভারত, ১৮ এপ্রিল: সোমবার জুটমিল থেকে ইটভাটা, নানাক্ষেত্র সচল করতে কেন্দ্রীয় সরকার সবুজ সংকেত দিয়েছে। তাই দেরিতে নারাজ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ইতিমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। লকডাউনে, আর্থিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া ত্রিপুরা আরও পিছিয়ে গিয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব শনিবার কাজে নেমে পড়েন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও কীভাবে শিল্প সংস্থাগুলো চালু রাখা যায়, সরেজমিনে তা খতিয়ে দেখেন।
এদিন বোধজংনগর শিল্পাঞ্চল এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরির কারখানা এবং ইটভাটাগুলি কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও আগামী ২০ এপ্রিল থেকে নিয়মিতভাবে খোলা যায় তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন বিপ্লব দেব। শ্রমিক বন্ধু ও বিভিন্ন কারখানার মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। শুধু এই এলাকাই নয়। আগরতলা-সহ ত্রিপুরার অন্য এলাকাতেও বিভিন্ন কারখানার উৎপাদন পরিস্থিতি এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব খতিয়ে দেখেন।
পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরা প্রধানত বনজ শিল্পনির্ভর। এখানে যেটুকু শিল্প ছিল, বাম জমানায় তা-ও মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এই অবস্থা থেকে ত্রিপুরার পরিস্থিতি উন্নত করতে চেষ্টার কসুর করছে না মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা সরকার। এমনই দাবি ত্রিপুরা প্রশাসনের। সেই কথা মাথায় রেখেই এদিন ইটভাটা, জুটমিল মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ঘুরে দেখলেন বলে ত্রিপুরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।