রাজেন রায়, বিধাননগর, ২১ অক্টোবর: বিধানসভা ভোটের আগে কি ফের নতুন অঙ্কে লেখা হচ্ছে পাহাড়ের রাজনীতি? পঞ্চমীর সন্ধ্যায় তিন বছর ধরে ফেরার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংয়ের আচমকা বিকেলে সল্টলেকের গোর্খা ভবনে আবির্ভাব অন্তত সেই জল্পনাই উসকে দিচ্ছে।
এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ একটি সাদা ল্যান্ডরোভার গাড়িতে চেপে গোর্খা ভবনে হাজির হন তিনি। গাড়িতে তাঁৎ পাশে ছিলেন এক গেরুয়া বসন-রুদ্রাক্ষের মালাধারী সাধু গোছের মানুষ। গাড়ির নম্বর প্লেট ঝাড়খণ্ডের ছিল। কিন্তু এদিন গোর্খা ভবনে পৌঁছলেও গেটে তালা ঝুলছিল। এক পুলিশ কর্মী ভবনের গেট ধরে ঝাঁকান। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি। কিন্তু গেট না খোলায় গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য কোথাও চলে যান গুরুং।
সকলের সামনে পাহাড়ের আরেক নেতা মদন তামাংকে কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করা, পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানো থেকে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সাব-ইনস্পেক্টর অমিতাভ মালিক খুনে অভিযুক্ত বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ইউএপিএ আইনের ধারাও রুজু রয়েছে তাঁর নামে। কিন্তু কোনওদিনই তাকে চেষ্টা করেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলি়শ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুজোর মুখে পঞ্চমীতে এহেন গুরুংয়ের কলকাতা আবির্ভাব স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনার পারদ উসকে দিয়েছে।