আমাদের ভারত, ৩ ডিসেম্বর: দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে সেমি ফাইনালে আবারও মোদী ম্যাজিক দেখলো দেশবাসী। চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটে ঝড় তুলেছে পদ্ম শিবির। আর তারপরেই বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, “আগামী লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসনের দিকে আমাদের চোখ। এই জয় আমাদের কর্মীদের উৎসাহিত করবে।”
মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় তিন রাজ্যে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে পদ্ম শিবির। সেমি ফাইনালে দলের এই ঝোড়ো পারফরম্যান্স দেখে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীরা উৎসাহিত হবেন বলেই দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘আমরা পরপর দুটো ডোজ পেয়ে গেছি। এক ২৯ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় ভিড়। দুই এই জয়।” তিন রাজ্যে বিজেপির এই দুর্দান্ত ফলাফলে বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতারা। অবশ্যই আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই ফলাফল হাতিয়ার হবে তাদের।
কিন্তু উত্তর ভারতে বিজেপির জয় মসৃণ ভাবে হলেও দক্ষিণ ভারতে বিজেপি জয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি। তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসার রাস্তা প্রশস্ত হয়েছে। কিছুদিন আগে কর্ণাটকেও ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, কর্ণাটকে সরকার বিরোধীতা একটা ফ্যাক্টর। পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলায় সেখানে। স্বাভাবিকভাবে সেই বদল এবারও হয়েছে। এছাড়াও কংগ্রেস কিছু বিভ্রান্তিমূলক সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দিয়েছিল এবার।” তবে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, “সেই ভুল বেশি দিন থাকবে না। অপেক্ষা করুন, আগামী দিনে নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কর্ণাটকে ফিরবে বিজেপি। আর তেলেঙ্গানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই প্রথম তেলেঙ্গানায় এত ভোট পেয়েছে বিজেপি। আগামী দিনে সেখানে তাদের বিধায়ক সংখ্যা আরো বাড়বে। সব মিলিয়ে বিজেপি যে শুধুই উত্তর ভারতের দল, এই তকমা খুব তাড়াতাড়ি মুছে যাবে বলে মনে করেছেন তিনি।
অন্যদিকে দলের এই দুর্দান্ত পারফরমেন্সের জন্য মোদী ম্যাজিককেই কারণ বলে মনে করেছেন সুকান্ত। তাঁর আরো দাবি, লোকসভা ভোট যতই এগিয়ে আসবে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে অন্যান্য নেতার তুল্যমূল্য বিচার করবেন দেশের মানুষ। আর সেই মূল্যায়নে নরেন্দ্র মোদী আর তার সরকার কয়েক হাজার কিলোমিটার এগিয়ে থাকবে বলে দাবি তাঁর। আর সেই প্রমাণই ধরা পড়েছে এই তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফলে। আসন্ন লোকসভা ভোটেও বাংলায় বিজেপির পারফরমেন্সে একই জিনিস ধরা পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দুর্নীতিকে আরও বেশি করে ইস্যু করা হবে। তাঁর কথায়, নরেন্দ্র মোদীর উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস দেওয়ার সময় দেখেন না, উপভোক্তা বিজেপি, নাকি তৃণমূল করেন। মমতা যেটা করেছেন তা হলে উপভোক্তা মাত্রই রাজনৈতিক উপভক্তা হতে হবে। যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রেও দেখা হয় কে তৃণমূল করেন। তবে এই ভাবনা আর বেশি দিন কাজ করবে না বলেই দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, মানুষ নিশ্চয়ই নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন।