নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ৭ ডিসেম্বর: কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অরবিন্দ মেননকে এরাজ্যের সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? এমন জল্পনা শুরু হয়েছে গোটা মুরলিধর সেন লেনজুড়ে। সূত্রের খবর, বাংলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। তবে বাংলায় মাঝেমধ্যে তাঁকে সময় দিতে বলেছে দিল্লি।
অরবিন্দ মেননকেও রাজ্যের সহকারি পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজ্য বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের বিপরীতেই থাকতেন অরবিন্দ মেনন। মধ্যপ্রদেশের এই বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ ছিলেন দলের জাতীয় পরিষদের সদস্য মুকুল রায়। শুধু অরবিন্দ মেননেরই নয় কৈলাস বিজয়বর্গীয়রও খুব ঘনিষ্ঠ মুকুল রায়।
সূত্রের খবর একসময় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নামে দিল্লিতে অভিযোগ জমা পড়েছিল। তারজন্য তাঁর ডানা ছাঁটতে এরাজ্যে অরবিন্দ মেননকে সহকারি পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিল দিল্লি। মাসখানেক ধরে অরবিন্দ মেনন অসুস্থ ছিলেন। তাছাড়া বাংলায় অরবিন্দ মেননের কাজে খুশি ছিল না দিল্লি। তবে কৈলাসের কাজে খুব একটা অসুন্তুষ্ট ছিল না দিল্লি। কিন্তুু দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায় লবির দৈরথ সামলাতে ব্যার্থ হয়েছেন বলে মনে করেছে দিল্লি। সেইজন্য দিলীপ ও মুকুল রায়দের জন্য কড়া ম্যানেজার পাঠানোর কথা ভেবেছে দিল্লি।
তবে কৈলাস ও অরবিন্দ মেননের জায়গায় কাকে বাংলায় পাঠানো হবে তা এখনও জানাযায়নি। এব্যাপারে রাজ্য বিজেপির কোনও নেতাই মুখ খোলেননি। সায়ন্তন বসু, প্রতাপ চ্যটার্জির মতো রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদকদের ফোন করা হয়েছিল, তারা ফোন তোলেননি। ফলে খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে, কৈলাস ঘনিষ্ঠ বিজেপির রাজ্য নেতারা মানতে রাজি নন। তাঁরা জানিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় কলকাতাতেই আছেন। আজও একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।