পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ ফেব্রুয়ারি: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নেঙ্গুড়িয়ায় মাঝি বাবা ষোল আনা জুয়ান গাওতার উদ্যোগে শহিদ তিলকা মাঝির ২৭৪ তম জন্মদিনে তার একটি পূর্ণবয়ব মূর্তি স্থাপন করা হয়। সেই উপলক্ষে ১১-১২ এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের ফুটবল প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সোমবার বিকেলে পুরস্কার বিতরণ ও শহিদ তিলকা মাঝির পূর্ণাবয়বমূর্তি উন্মোচন করেন প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ।
মূর্তি উন্মোচনের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতী ঘোষ বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও আদিবাসীদের যেভাবে উন্নয়ন হওয়ার কথা তা হয়নি। মুখে বলা হচ্ছে আদিবাসীরা এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে কতজন আদিবাসী চাকরি পেয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিভিন্ন দিক থেকে আদিবাসীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। আদিবাসীদের প্রতি বঞ্চনা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সকলকে লড়তে হবে। আদিবাসীদের ন্যায্য অধিকারগুলি আমরা চাই। যেগুলি পেলে গ্রাম শহর কাছাকাছি আসবে। গ্রামের উন্নয়ন হবে। আদিবাসীরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। আদিবাসীদের জন্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন। অলচিকি লিপিতে শিক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নত করার দরকার।
ভারতী ঘোষ বলেন, এ রাজ্যে আদিবাসীদের জন্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পরিষদ রয়েছে ঠিকই কিন্তু তা এখন বাঁশি বাজানোর জায়গা হয়েছে। আদিবাসীদের জাহের থানগুলি এখনো ঘিরে দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়নি। এগুলো আদিবাসীদের হকের জিনিস। এর জন্য আদিবাসীদের লড়তে হবে। অতীতে সিধু কানু, বিরসা মুন্ডা এবং তিলকা মাঝিরা অধিকারের লড়াইয়ে জীবন দিয়েছেন। সেই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমরা তাদের পাশে রয়েছি। অধিকারের প্রশ্নে আদিবাসীদের লড়াই আন্দোলনের কাছে থেকে সরকারের কাছে তাদের এইসব বার্তা আমরা পৌঁছে দেব।