মিলন খামারিয়া
আমাদের ভারত, কৃষ্ণনগর, ৩০ এপ্রিল:
পশ্চিমবঙ্গে সংগঠন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় কিষাণ সংঘ। এজন্য রাজ্যে কমপক্ষে ৭০ হাজার সদস্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষ্ণনগরে ভারতীয় কিষাণ সংঘের দু’দিনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় কিষাণ সংঘের দু’দিনের প্রান্ত যোজনা বৈঠক-২০২৩ আজ শেষ হয়। গতকাল বিকেল ৪ টে থেকে কৃষ্ণনগরে ‘সরস্বতী শিশু মন্দির’-এ শুরু হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে কিষাণ সংঘের ১৭ টি সাংগঠনিক জেলা থেকে কার্যকর্তারা যোগদান করেছিলেন।
বৈঠকের শুরুতেই কিষাণ সংঘ কি এবং কেন কিষাণ সংঘ করা উচিত সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সভাপতি কল্যাণ কুমার মন্ডল। কীভাবে সংগঠন বাড়ানো যায় সেই বিষয়েও মতামত দেন তিনি।
সর্বভারতীয় সহ-সংগঠন সম্পাদক গজেন্দ্র সিং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গত ১৯ শে এপ্রিল থেকে প্রবাসে গিয়ে কৃষি ও কৃষকদের সমস্যা সম্পর্কে জেনেছেন বলে জানান। এই সমস্ত সমস্যা সমাধানের একটাই উপায়, কৃষকদের সংঘবদ্ধ করা। কৃষকরা সংঘবদ্ধ হলে তবেই তারা তাদের ফসলের উপযুক্ত মূল্য ও প্রাপ্য সম্মান ফিরে পাবে বলে জানান তিনি।
৩০ তারিখ শুরুতেই প্রান্তের কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে সংগঠন দ্রুত বৃদ্ধি করার বিষয়ে সকলেই মতামত দেন। এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করার পরিকল্পনার কথা জানান রাজ্যের সংগঠন সম্পাদক অনিল চন্দ্র রায়। ‘সদস্যতা অভিযান প্রমুখ’ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রান্তের সহ-সভাপতি আশিস সরকার’কে। কমপক্ষে ৭০ হাজার সদস্য করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ভারতীয় কিষাণ সংঘ পৌঁছে যাবে বলেও দিশা দেখান তিনি।
এই যোজনা বৈঠকর গুরুত্ব সম্পর্কে সভাপতি কল্যাণ কুমার মন্ডল বলেন, “ভারতীয় কিষাণ সংঘ কৃষকদের লাভকারী মূল্য পাইয়ে দেবার জন্য বদ্ধপরিকর। কৃষকরা সংঘবদ্ধ হলে তবেই তারা নিজেদের লাভকারী মূল্য ও সব অধিকার ফিরে পাবে। পাশাপাশি জৈবিক কৃষিকে ফিরিয়ে আনতে চাই আমরা।”
এই যোজনা বৈঠক থেকে এই বছরের শেষ দিকে নভেম্বর মাসে, কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের লাভকারী মূল্যের দাবিতে, যথাযথ সেচ ব্যবস্থা ও স্বল্প মূল্যে বিদ্যুৎ প্রদানের দাবিতে কলকাতায় ধর্ণা প্রদর্শন ও রাজ্যপালকে ডেপুটেশন দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।