মিলন খামারিয়া, কলকাতা, আমাদের ভারত, ৪ মার্চ:
গতকাল কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে জাতীয় গ্রন্থাগার ও ভারতীয় কিষাণ সংঘের যৌথ উদ্যোগে সভা করল ভারতীয় কিষাণ সংঘ। এদিন গ্রন্থাগারের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হলে ‘বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের দশা- দিশা’ নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের সভাপতি ও অখিল ভারতীয় কার্যকারিণী সদস্য কল্যাণ কুমার মন্ডল, পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সংগঠন সম্পাদক অনিল চন্দ্র রায়, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ক্ষেত্রের সংগঠন সম্পাদক শ্রীনিবাস ও বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম সাহা এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী বসন্ত শেঠিয়া।
এদিন শুরুতেই ভারতীয় কিষাণ সংঘ কী, তার বৈশিষ্ট্য কী, কারা ভারতীয় কিষাণ সংঘের সাথে যুক্ত আছেন, কিষাণ সংঘের কাজ ও দায়িত্ব কী সে সব নিয়ে আলোচনা করেন সভাপতি শ্রী মন্ডল।
তারপর শ্রী শেঠিয়া বলেন, “এই সেমিনার দ্বারা কৃষক সমাজকে কীভাবে একত্র করা যায় তার প্রয়াস করা হয়েছে। কৃষির দ্বারা জনকল্যাণের মাধ্যমে দেশের উন্নতি করা সম্ভব।”
এরপর অধ্যাপক সাহা বলেন, “বই পড়ার মধ্যে দিয়ে জ্ঞান বৃদ্ধি হবে। তাই কৃষকদের বই পড়া জরুরি। চাষির আয় বাড়লে দেশের উন্নতি সম্ভব। তাই প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর কৃষিদপ্তর বিভিন্নভাবে এগিয়ে এসেছে। আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। শহর থেকে শুরু করে প্রান্তিক গ্রাম-গঞ্জে মিনিমাম শিক্ষার প্রয়োজন আছে। আর এক্ষেত্রে লাইব্রেরির একটা বড়ো ভূমিকা আছে। শিক্ষার মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে হবে।”
এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গ্রন্থাগারের মহা নির্দেশক অধ্যাপক অজয় প্রতাপ সিং। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন যোজনার মধ্যে দিয়ে দেশের যে উন্নতি সাধন কার্যে নেমেছেন সেখানে কৃষকদের একটা বড়ো ভূমিকা আছে। এক্ষেত্রে গ্রামের দিকে বিশেষ দৃষ্টিপাত করতে হবে। যা পুঁথিগত তা কীভাবে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা সম্ভব সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য করতে হবে। এজন্য গ্রামে-গঞ্জে পুস্তকালয় গড়ে তোলা প্রয়োজন।”
এছাড়াও এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের প্রচার প্রমুখ ড: কল্যাণ জানা ও সহ-সভাপতি আশিস সরকার।