জে মাহাতো, আমাদের ভারত, কোলাঘাট, ২৭ সেপ্টেম্বর: শনিবার সন্ধ্যার পর পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের দেউলিয়া বাজারে জনস্রোতে ভাসলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। সন্ধ্যে থেকেই অঝোরে বৃষ্টি পড়লেও বৃষ্টিতে ভিজেই ভারতী ঘোষকে দেখার জন্য ভিড় জমিয়ে অপেক্ষা করছিলেন হাজার খানেক মহিলা ও পুরুষ। শনিবার সন্ধ্যায় কোলাঘাটের দেউলিয়া বাজার বিজেপির উদ্যোগে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিজেপিতে যোগদানের কর্মসূচিও ছিল।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সেখানে ভারতী ঘোষ যখন পৌঁছালেন তখন আওয়াজ উঠল,‘বাংলার অগ্নিকন্যা ভারতী দি স্বাগতম।’ এই স্লোগান শুনে বিজেপি নেতা কর্মীরাও রীতিমত চমকে ওঠেন। সাধারণত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভামঞ্চে উপস্থিত হওয়ার সময় এই স্লোগান শোনা যায়। তাই বিজেপির এক স্থানীয় নেতা স্লোগানকারীদের ধমক দেন। কিন্তু তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিতে আসা কয়েকজন বলে উঠলেন, আরে চালিয়ে যাও, মমতা এখন নিভে গেছে! ফের জোরালো আওয়াজ উঠল, ‘বাংলার অগ্নিকন্যা ভারতীদি জিন্দাবাদ।
ভারতী ঘোষ এদিন প্রতিবাদ মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন,
“২১শে ক্ষমতায় আসার পর প্রতিটি বোমা উদ্ধার এবং বিস্ফোরণের মামলা সিবিআইকে দিয়ে রি- ওপেন করা হবে। সারদা নারদা সহ চিটফান্ডের যেসব মামলা চলছে সেভাবেই বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণের মামলা চলবে। তখন মানুষ যেমন পাগলা কুকুরকে তাড়া করে বেড়ায় ঠিক সেভাবেই তৃণমূল নেতাদের তাড়া করবে। রাজ্যের মানুষ ক্ষেপে রয়েছেন।” পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদেরও যাতে মানুষের তাড়া না খেতে না হয় সেজন্য আইন মেনে কাজ করুন, মিথ্যা মামলা দেওয়া বন্ধ করুন। নইলে আপনাদেরও জেল হাজত খাটতে হবে।”
সীমান্তে গরু পাচার প্রসঙ্গে ভারতী ঘোষ বলেন, ”গরু পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে বেশকিছু তৃণমূল নেতার এবং প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যক্তির নাম উঠে আসছে। সঠিক সময়ে এদের সকলের মুখোশ খুলে যাবে। ভারতী ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, মুর্শিদাবাদ, বসিরহাট, স্বরূপনগর সীমান্ত এলাকায় যেসব তৃণমূল নেতাদের চাল চুলো ছিল না তাঁরা হঠাৎ ফুলে ফেঁপে ঢোল হয়ে গেল কী করে? পুলিশের সাহায্য ছাড়া এপারের গরু ওপারে যাওয়া সম্ভব হয় কিভাবে? গরু পাচার রহস্য উদঘাটনে নামায় ভারতী ঘোষ সিবিআইকে ধন্যবাদ জানান। এদিনের সংকল্প প্রতিবাদ সভায় যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করতে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে ভারতী ঘোষের হাত থেকে পতাকা নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।