স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ১৬ নভেম্বর: ভাই এর কপালে দিলাম ফোঁটা যমরে দূয়ারে পড়ল কাঁটা– এই কথা বলতে না পারলেও হোমের ৪৯ জন ভাইকে ফোঁটা দিল রায়গঞ্জ সুর্যোদয় মূক বধির হোমের ১৩ জন মহিলা আবাসিক। ভাইফোঁটা উপলক্ষে আজ খাওয়া দাওয়াতেও বিশেষ আয়োজন করেছে হোম কর্তৃপক্ষ।
রায়গঞ্জ কর্নজোড়ায় রয়েছে রায়গঞ্জ সুর্যোদয় মূকবধির হোম। এই হোমে রয়েছে ৪৯ জন ছেলে এবং ১৩ জন মেয়ে। প্রতিবছর এই হোমের মূক বধির মেয়েরা আবাসিক ভাই দাদাদের ভাইফোঁটা দেয়। ভাইফোঁটা উপলক্ষে সকালে আবাসিক ছেলে মেয়েরা স্নান করে নতুন জামাকাপড় পড়ে ফোঁটা দেবার জন্য তৈরী হয়। প্রতিবছর আবাসন ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে অধ্যক্ষের ঘরে সামনে বসে ফোঁটা নেয়। এবারে চিত্রটা একটু অন্য রকম। করোনা আবহের কারনে এবারে ভাইরে নিজস্ব হোষ্টেল ছেড়ে বেরিয়ে আসেনি। বোনেরা ভাই দাদাদের হোষ্টেলে গিয়ে ফোঁটা দেয়।
ভাই বোন প্রত্যেকেই মূক ও বধির। কিন্তু বিগত বছর তারা যেভাবে ফোটা দেন তাতে অনেকটাই ধাতস্ত হয়ে গেছেন। মুখে আওয়াজ করতে না পারলেও কপালে চন্দন দিয়ে কি বলতে হয় সেটা তারা হাবভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। হোম কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য মিষ্টির ব্যবস্থা করেছে। ফোটাঁ দেবার পর ভাইদের পাতে মিষ্টি তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যরা যেমন ভাইফোঁটা নিচ্ছেন তেমনি সূর্যদয় মুকবধির হোমের আবাসিকরা ফোটা পেয়ে খুশী। প্রত্যেকের মুখেই আজ হাসি। হোমের অধ্যক্ষ পার্থসারথী দাস জানিয়েছেন, ভাইফোঁটা উপলক্ষে আজ হোমের আবাসিকদের দুপুরে মাছের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও খাওয়ার পর তাদের পাতে রসগোল্লার ব্যবস্থা করা হয়েছে।