স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ১৩ জুন:
বেথুয়াডহরির অন্যতম আকর্ষণ বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য ৷ এখানে গোটা অরণ্য জুড়ে চিতল হরিণের স্বর্গরাজ্য৷ এছাড়াও আছে নীলগাই, ময়ুর, নানা ধরণের পশুপাখি, ঘরিয়াল এবং ময়াল সাপ যাদের দেখতে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আসে ৷ তবে অরণ্য থেকে বেরিয়ে অনেকেই হতাশ হয়ে বলেন, হরিণের ঝাঁক দেখতে পাননি৷
বর্তমানে লকডাউনের কারণে অভয়ারণ্যও বন্ধ৷ এই সময় দেখা গেলো অন্য ছবি৷ অরণ্য যেন সত্যিই অভয়ারণ্য হয়ে উঠছে হরিণের কাছে। এখন দেখা যাচ্ছে হরিণের ঝাঁক৷ তবে কি প্রতিদিনের এত দর্শণার্থীর ভিড়ে ওরাও লুকিয়ে থাকতো অরণ্যের গভীরে? দেখা দিতে চাইতো না মানুষকে? লকডাউনে মানুষ ঘরে ঢুকে যাবার পর ওরাই কি পেয়ে গেলো আড়াল থেকে বাইরে আসার সাহস? হয়ত তাই কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে গেলো প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান৷
ঝড়ে অরণ্যের অনেক গাছপালা ভেঙ্গে পড়ার পরও কিন্তু চিত্রটা খুব বদলায়নি৷ এখনও অরণ্যে চোখ রাখলে দেখা যাবে হরিণের ঝাঁক৷ কারো চোখে এতটুকু ভয় ভীতি নেই৷ করোনা, লকডাউন, আমফান প্রকৃতির সব দুর্যোগ জয় করে হরিণরা যেনো তাদের জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে৷