বাংলা চর্চা ৭১। ম-ফলা

অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ১১ জুলাই :
গ, ঙ, ট, ণ, ন, বা ল বর্ণের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে, ম-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যুক্ত ব্যঞ্জনের প্রথম বর্ণের স্বর লুপ্ত হয়। যেমন— বাগ্মী (বাগ্মি), যুগ্ম (যুগ্মো), মৃন্ময় (মৃন্ময়), জন্ম (জন্মো), গুল্ম (গুল্মো)।

ব -ফলার উচ্চারণ: ক. শব্দের প্রথমে ব-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে শুধু সেই বর্ণের উপর অতিরিক্ত ঝোঁক পড়ে। যেমন— ক্বচিৎ (কোচিৎ), দ্বিত্ব (দিত্তো), শ্বাস (শাশ্), স্বজন (শজোন), দ্বন্দ্ব (দন্দো)।

শব্দের মধ্যে বা শেষে ব-ফলা যুক্ত হলে যুক্ত ব্যঞ্জনটির দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন— বিশ্বাস (বিশ্শাশ্), পক্ব (পক্কো), অশ্ব (অশ্শো)।

সন্ধিজাত শব্দে যুক্ত ব-ফলায় ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন— দিগ্বিজয় (দিগ্বিজয়), দিগ্বলয় (দিগ্বলয়)।

শব্দের মধ্যে বা শেষে ‘ব’ বা ‘ম’-এর সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যেমন— তিব্বত (তিব্বত), লম্ব (লম্বো)।

উৎ উপসর্গের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বহাল থাকে। যেমন— উদ্বাস্তু (উদ্বাস্তু), উদ্বেল (উদ্বেল্)

প্রয়োজনীয় কিছু শুদ্ধ বানানঃ
উজ্জ্বল, জ্বলজ্বলে, জ্বলন্ত, জ্বালানি, প্রাঞ্জল, অঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি,গীতাঞ্জলি।

অধ্যক্ষ, প্রতীক, ব্যাখ্যা, আকস্মিক, মূর্ছা, ক্ষীণ, মুখমণ্ডল, অনুরণন, হাস্যাস্পদ, সালিস, সত্বর, উচ্ছ্বসিত, স্বেচ্ছাচারী, কর্মচারী, বিচি, বাণী, শ্বশুর, শাশুড়ি।

পরিপক্ব, লজ্জাকর, ভাস্কর, দুষ্কর, সুষমা, নিষিদ্ধ ষোড়শ, নিষ্পাপ, কলুষিত, বিষন্নতা, ওষ্ঠ, সম্মুখ, সম্মান, সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা, আনুষঙ্গিক, রূদ্ধশ্বাস, দুর্নাম, অন্তঃস্থল, নগণ্য, আতঙ্ক, জটিল, গগণ, তিথি, অতিথি।
***

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *