বাংলা চর্চা ৩৪। “ধানক্ষেত” না কী “ধানখেত”?

অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ৩ জুন: ফেসবুকে শুদ্ধ বানান চর্চা গ্রুপে এই প্রশ্নের উত্তরে মৃণাল চন্দ্র জানিয়েছেন, “পল্লীকবি জসীম উদ‌্‌দীনের একটি কবিতার নাম ‘ধানখেত।’ মোহিতলাল মজুমদার অবজ্ঞা করে বলতেন- জসীম উদ্ দীন ‘ধান খেত’।“

এই প্রসঙ্গে ওই গ্রুপের অ্যাডমিন মহম্মদ আমিন লিখেছেন, বাবা শুধু খেতে যায়, ক্ষেতে যায় না। কেন? এখন ক্ষেতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাংলা একাডেমি নাকি সব ক্ষেত নষ্ট করে দিয়েছে। অভিধানেও রাখেনি। তাই সবাই শুধু খেতে যায়। এত খেতে যাচ্ছে বলে খেতে খেতে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।

তাই তো বলি— খাদ্যশস্য আর শাক-সব্‌জির দাম এত বেড়ে যাচ্ছে কেন। আগে যেটা ক্ষেত ছিল, এখন সেটি খেত।

হায়রে আমার ক্ষেত, হারিয়ে গেলি তুই,
এখন আমার কষ্ট অনেক, হচ্ছে খেতে ভুঁই।
একাডেমির ভারি মজা যা-ইচ্ছে-তাই করে
হতভাগা বাঙালিরা ক্ষেত হারিয়ে মরে।”

বাংলার অভিজ্ঞ শিক্ষক তথা প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ অচিন্ত্য বিশ্বাসের মতে, “মোহিতলালের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, ধানখেত শব্দে ভুল নেই। ধান্য যদি ধান হতে পারে ক্ষেত্র কেন খেত হবে না? এগুলো তদ্ভব শব্দ। অর্থ নিয়ে অতিরিক্ত হৈ চৈ না করাই ভাল। অর্থ অনষঙ্গ নির্ভর। ধানখেতে যাওয়া মানে ধান চিবিয়ে খেতে যাওয়া যে নয়, সবাই বুঝবেন।“
***

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *