পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ মার্চ: বাংলার মুসলমানদের কিছু টাকা দিয়ে কিনে রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁরা এখন সব ফন্দিফিকির বুঝে গেছে। তাই সাগরদিঘির ভোটের ফল তারই উত্তর দিয়েছে। আজ মেদিনীপুর এবং খড়্গপুর শহরের বিভিন্ন মন্দিরে হোলি পালন করতে এসে চাঁচাছোলা ভাষায় রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সাগরদিঘিতে তৃণমূলের হারা নিয়ে দিলীপবাবু তৃণমূল সুপ্রিমোকেই দায়ী করেছেন। শুধু সাগরদিঘির নির্বাচন নয়, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন আর কিছু করার নেই। রাজ্যের মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। তাঁরা পেনশন, ডিএ কিছুই পাচ্ছেন না। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালাকি বুঝে গেছে।
এছাড়াও নওশাদ গ্রেফতার ও ফুরফুরা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, “দেখুন মমতা ব্যানার্জির কাছে করার আর কিছু নেই। যাদের ওপর ভরসা করে জিতছিলেন তারা সাগরদিঘিতে খেলা দেখিয়ে দিয়েছে। এখনই অদল বদল করে লোককে একটু ভোলাবার চেষ্টা করছেন। না টাকা পয়সা আছে, না উন্নয়ন আছে, না চাকরি আছে, না ডিএ আছে, না পেনশন, কিছুই নাই দেওয়ার। এখন চালাকিটা শেষ হয়ে গেছে, এখন অদল বদল করে মন ভোলাবার চেস্টা করছেন।”
“প্রত্যেকবারই বাস দেন এবং ওখানকার যিনি প্রমুখ আছে তাদেরকে টাকা পয়সা সাহায্য করে দেন। এভাবে বাংলার মুসলমানদের ওনারা কিনে রেখেছেন। কিন্তু তারা যেভাবে রিঅ্যাক্ট করেছেন এবং তাদের প্রতিনিধিকে যেভাবে হারাসমেন্ট করেছে, ৪১ দিন জেলে ফেলে রেখেছেন বিনা কারণে, এটা তো সেই সমাজের মধ্যে একটু আন্দোলন হয়েছে। তারা অনুভব করছে যে তাদের কেনা গোলাম করে রেখেছেন।”
অনুব্রত নিয়ে নিশ্চুপ তৃণমূল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এরপর আপনারাও চুপ হয়ে যাবেন, কাল থেকে আর কেউ অনুব্রত’র নাম নেবে না।”