অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ২৭ মার্চ: রবিবার, যাদবপুর গরফা মেন রোডে সংস্কৃতি চক্র সভাগৃহে ১৯৭১-এর বাঙ্গালী হিন্দু গণহত্যা নিয়ে প্রস্তাবিত প্রদর্শনী বাংলাদেশ ফাইলস বন্ধ করে দেওয়া হল। প্রতিবাদে উদ্যোক্তারা যাদবপুর পালবাজারের মোড়ে বিকাল ৫টায় তাঁদের প্রদর্শনীর কিছু চিত্র সহ হাজির হবে।
এ খবর জানিয়ে যাদবপুরের বিজেপি কর্মী সমর্থক ও উদ্বাস্তু কর্মীদের তরফে মোহিত রায় জানান, “ওটি অনুষ্ঠিত করা সম্ভব হচ্ছে না। ইসলামী মৌলবাদ সমর্থক বামপন্থী সংস্থা সংস্কৃতি চক্র শেষ মুহূর্তে তাদের সভাগৃহ ব্যবহারের অনুমতি প্রত্যাহার করেছে। তাদের আপত্তি বাঙ্গালী হিন্দু গণহত্যা নিয়ে। তারা অনুমতি দিয়েও পরে পুলিশের অনুমতি নেবার অজুহাত তোলে। আমরা কলকাতা পুলিশের হেড কোয়ার্টার ও গরফা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করি কিন্তু তারা কোনও আপত্তি করেনি।
পশ্চিমবঙ্গের জন্মলগ্ন থেকেই বামপন্থীরা ইসলামী মৌলবাদীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। পাকিস্তানের দাবি থেকে ৪৬এর কলকাতা গণহত্যা – সব কিছুতেই কমুনিস্টরা ছিল মুসলিম লীগের সঙ্গী। পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সব হিন্দু কমুনিস্টরা পালিয়ে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গে এবং এখানে এসেও তারা দালালি করে যাচ্ছেন ইসলামি মৌলবাদের। পশ্চিমবঙ্গের বামেদের এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে ফুরফুরা শরীফ।
এই বামপন্থী চেতনায় সিপিএমের ছায়াসঙ্গী বামপন্থী সংস্থা সংস্কৃতিচক্র তাদের সভাগৃহ অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দিয়েও পরে ইসলামী মৌলবাদের চাপে তা প্রত্যাহার করে। নোয়াখালী থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের ইসলামী মৌলবাদীদের সহায়তায় প্রায় ত্রিশ লক্ষ বাঙ্গালী হিন্দুকে হত্যা যে গণহত্যা তা আজ আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত হচ্ছে। কিন্তু ইসলামী মৌলবাদের দোসর পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থীরা এই সত্যকে লুকিয়ে রাখতে চায়। তাই ‘বাংলাদেশ ফাইলস’ শুরু হোক তা তারা হতে দেবে না।
আমরা এর প্রতিবাদে যাদবপুর পালবাজারের মোড়ে বিকাল ৫টায় আমাদের প্রদর্শনীর কিছু চিত্র সহ সমবেত হব।“