আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৬ নভেম্বর: বাংলায় স্বজনপোষণ ও তুষ্টিকরনের রাজনীতি চলছে, খুব শীঘ্রই এই কলুষিত রাজনীতি থেকে বাংলা মুক্ত হবে। যে বাংলা আধ্যাত্মবাদের ধারক ও বাহক ছিল, যে বাংলা দেশের বিখ্যাত মণীষীদের জন্ম দিয়েছে, সেই বাংলা এখন রাজনীতির বেড়া জালে পড়ে তার মর্যাদা হারিয়েছে।” দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে শুক্রবার পুজো দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই ভাষাতেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনা করলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বাংলা সফরের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার সকালে দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে পুজো দিতে আসেন। এদিন সকালে তিনি মন্দিরে এসে নিজে হাতে মা ভবতারিনীর সামনে দাঁড়িয়ে গর্ভ গৃহে পুজো দেন, মায়ের আরতি করেন। শুক্রবার সকালে অমিত শাহ দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে উপস্থিত হলে মন্দির কর্তপক্ষের তরফ থেকে তাঁকে বরণ করে নেওয়া হয়।
এদিন দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে থাকা কালীন নিরাপত্তার কারণে বাইরের অন্য কোনও দর্শনার্থীকে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
অমিত শাহ মন্দিরে পুজো দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এই বাংলা আধ্যাত্মবাদের বাংলা ছিল। এই বাংলা দেশের বড় বড় মনীষীদের জন্ম দিয়েছে। অথচ এই পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে যে রাজনীতি চলছে তা স্বজনপোষনের, তুষ্টিকরণের রাজনীতি। এই সময় সকল রাজ্য বাসীকে এক জোট হয়ে নিজের নিজের কাজ নিষ্ঠার সাথে করে যেতে হবে, রাজ্যবাসী এই তুষ্টিকরনের রাজনীতি থেকে শীঘ্রই মুক্ত হবেন, এই বিশ্বাস আমার আছে। প্রধনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমাদের দেশ উন্নতির শিখরে যাতে পৌঁছতে পারে সেই প্রার্থনাই আজ আমি মা কালির কাছে করলাম। দেশবাসী সকলে ভালো থাকুন।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে পুজো দিতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা প্রমুখ নেতারা। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা প্রায় ১ ঘণ্টা দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।