আমাদের ভারত, ৯ জানুয়ারি: সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তাই ভোটের রণকৌশল ঠিক করতে সোমবার বৈঠকে বসে বঙ্গ বিজেপি। বৈঠকে বিজেপির রাজ্য স্তরের নেতারা ছাড়াও সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক এবং পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের পরিচালনা কমিটি তৈরি হয়ে থাকতে পারে বলে সূত্রের খবর। কমিটিতে ১০০ জনের বেশি জায়গা পেতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
গত ২৬ ডিসেম্বর কলকাতায় রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেই বৈঠকে রাজ্যে ভোট পরিচালনার জন্য ১১ জনের কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন অমিত শাহ বলে শোনা গিয়েছিল। যদিও সে খবর সঠিক নয় বলে দাবি করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার বেশ কিছুদিন পর মঙ্গলবার নিউটাউনের একটি হোটেলে লোকসভা ভোটের রণকৌশল ঠিক করতে বিজেপির বৈঠক শুরু হয়।
বিজেপি সূত্রে খবর, দলের সাংগঠনিক কাঠামো মেনে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশকে নিচের স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে এই বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকে অমিত শাহ ও নাড্ডার নির্দেশ দলের সমস্ত সাংসদ বিধায়কদের জানানো হবে। একই সঙ্গে নিচু তলায় সেই বার্তা কিভাবে পৌঁছে দেওয়া হবে তার নির্দেশ দেবেন তারা। জেলা ব্লক হয়ে মন্ডল ও বুথ স্তর পর্যন্ত পৌঁছাবে সেই বার্তা।
জানাগেছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে পশ্চিমবঙ্গে মূলত তিনটি বিষয়কে হাতিয়ার করা হবে। মমতা সরকারের বেলাগাম দুর্নীতি ও নিপীড়ন, কেন্দ্রীয় সরকারের জনদরদী প্রকল্পের সুবিধা। রাজ্য সরকারের কারণে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের প্রকল্প থেকে রাজ্যবাসীর বঞ্চিত থাকা এবং রাম মন্দির নিয়ে বড়সড় প্রচারে নেমে হিন্দুত্বের আবহও তৈরি করা।
এদিনের বৈঠকে রাজ্যে লোকসভা নির্বাচন পরিচালনায় মূল কমিটি ও একাধিক সহকারি কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। কমিটিতে ১০০ জনেরও বেশি নেতা, সাংসদ, বিধায়ক স্থান পেতে পারেন। নির্দিষ্ট ভাবে নিজেদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে। বুঝিয়ে দেওয়া হবে কার সঙ্গে কিভাবে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে।
শোনা যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দলকে ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ।