আমাদের ভারত, ৬ সেপ্টেম্বর: কুনাল ঘোষকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বঙ্গ বিজেপি। সেই ভিডিওটিতে কুনাল ঘোষের সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চুড়ান্ত কটাক্ষ করা হয়েছে। বিজেপির এই ভিডিওকে ঘিরে ব্যাপক হইচই শুরু হয়েছে। ভিডিওটিতে কুনাল ঘোষকে চোটির মুখপাত্র বলা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে কুনাল ঘোষের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য আরজিকর কান্ডকে ঘিরে। ভিডিওর ক্যাপশনে সোজা নিশানা দাগা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও। “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষকদের নেতা” বলে তোপ দাগা হয়েছে।
সিবিআই- এর কাছে বিচার চেয়ে কুনাল ঘোষ গান গেয়ে একটি পোস্ট করেছেন। তার প্রেক্ষিতে বঙ্গ বিজেপির টুইট করা ভিডিওতে বলা হয়েছে, হ্যাঁ বিচার তো সিবিআইকে দিতেই হবে। কারণ আপনাদের দলদাস কলকাতার পুলিশের দ্বারা প্রমাণ লোপাট ছাড়া কিছুই সম্ভব হয়নি।” বলা হয়েছে, চটি চাটা বন্ধ করে চটির তলায় রক্তের দাগের প্রতিবাদে কলম ধরুন।
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলা হয়েছে, “জেনে গেছে জনতা, ধর্ষকদের নেতৃত্ব দিচ্ছে মমতা।”
বঙ্গ বিজেপির তরফে প্রকাশিত ভিডিও প্রকাশ করে কুনাল ঘোষের উদ্দেশ্য প্রশ্ন করা হয়েছে, কুনালবাবুর মেরুদন্ড কবে সোজা হবে? আদৌ কি কোনদিন হবে? ভিডিওতে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ কুনাল ঘোষের সাধারণ জ্ঞানের বহর দেখে তাজ্জব বনে গেছে। বলা হয়েছে যে, আরজিকর কান্ড নিয়ে আজ উথাল-পাথাল রাজ্য। সেই আরজিকরকে নিয়েই কুনালবাবু নিজের রাজনীতির দোকান চালাচ্ছেন। একটি নিষ্পাপ মেয়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে গোটা বাংলা যখন প্রতিবাদ করছে সেই প্রতিবাদের প্রতিবাদ করতেই মেতে উঠেছেন কুনাল ঘোষ।
মহিলাদের রাত দখল অভিযানকে কুনাল ঘোষ ভোটে হারা অতৃপ্ত আত্মাদের কর্মসূচি বলেছিলেন। অরিজিৎ সিং’কেও প্রতিবাদী গান গাওয়ায় কটাক্ষ করেছেন। আরজিকরের ধর্ষণকে একটি বিচ্ছিন্ন এবং ব্যতিক্রমী ঘটনাগুলো বলে দাবি করেছেন। সিপিএম, বিজেপির প্রতিবাদ বা সমালোচনার অধিকার নেই বলে দাবি করেছেন। নবান্ন অভিযান সমাজ বিরোধীদের অভিযান বলে অভিযোগ করেছেন। পুজোর অনুদান ফেরত, বীরত্ব দেখানোর ক্যাম্পেন, তথা অভিনেতা অভিনেত্রীদের প্রতিবাদেও আপত্তি প্রকাশ করেছেন। সর্বোপরি দেশের রাষ্ট্রপতিকেও অপমান করেছেন কুনাল ঘোষ বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি এই ভিডিওটিতে।
বঙ্গ বিজেপির তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আর কত নিচে নামবেন কুনালবাবু? তৃণমূল ফলাও প্রচারে নেমেছেন অপরাধীদের শাস্তি চাই। তাহলে অন্যদের প্রতিবাদে কেন ওদের এত আপত্তি? প্রশ্ন করা হয়েছে, অপরাধীদের শাস্তি চাইছেন, অথচ তিলত্তমার খুনিদের, অপরাধীদের যারা বাঁচাতে চাইছেন সেই রক্ষক রূপী ভক্ষকদের শাস্তি কি চেয়েছেন? হুঙ্কার দিয়ে বলা হয়েছে, দম থাকলে চটি চাটা বন্ধ করুন। বিজেপি প্রশ্ন করেছে, অরিজিৎ সিং- এর গান গাওয়ায় আপত্তি, অথচ কুনাল নিজেই গান গেয়ে প্রতিবাদ করছেন। একদিকে কখনো ডাক্তারদের হুমকি দিচ্ছেন, আবার রাত পোহালেই সমর্থন করছেন। টলিপাড়ার প্রতিবাদে গর্জে উঠছেন, আবার শ্রেয়া ঘোষালের কনসার্ট বাতিলে বাহবা দিচ্ছেন। গিরগিটির মতো রং পাল্টে কি মানুষকে বোকা বানাতে চাইছেন বারবার? হুঁশিয়ার দিয়ে বঙ্গ বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, এত ভয় আপনাদের? তবে এবার একটু সামলে যান কুনালবাবু। শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারবেন না, কারণ “জেনে গেছে জনতা, আসল দোষী মমতা।”