আমাদের ভারত, ২৭ জানুয়ারি: বেলেঘাটায় ‘ভাগবত পাঠ’ অনুষ্ঠানে তৃণমূল সমর্থক বলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার তিনি এক্সবার্তায় লিখেছেন, “প্রয়োজনে এই দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”
তিনি জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় বেলেঘাটার সরকার বাজার মাঠ এলাকায় (বালির মাঠ) সনাতনীদের উদ্যোগে ‘ভাগবত পাঠ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে ভাগবত পাঠক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন “শ্রী হিরন্ময় গোস্বামী মহারাজ”। তিনিই ভাগবত পাঠ করছিলেন।
হঠাৎ ওই অনুষ্ঠানে তোলামূলের কিছু সমর্থক হিরণ্ময় গোস্বামী মহারাজের হাতে একটি চিরকুট ধরিয়ে দেয়, যেখানে লেখা ছিল অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ বলা যাবে না, ‘গোমাতার জয়’ বলা যাবে না, শুধু তাই নয়, ‘ভারত মাতার জয়’ পর্যন্ত বলা যাবে না। মহারাজ হিরন্ময় গোস্বামী এর তীব্র প্রতিবাদ করেন।
যারা চিরকুট দিয়েছিল তাদের তিনি চ্যালেঞ্জ করেন, এবং বলেন, চিরকুটে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলা যাবে না যে বা যারা বলছেন, তারা যেন সামনে এসে বলেন। মহারাজের এই তীব্র প্রতিবাদের সামনে কেউ এগিয়ে আসার সাহস দেখাননি।
গোমাতা সনাতন ধর্মের অঙ্গ, আমরা সনাতনীরা গোমাতার পুজো করি। ঠিক তেমনই আমাদের দেশ, যাকে আমরা মাতৃ রূপে পুজো করি সেই ভারত মাতার নামেও জয়ধ্বনি কোনো অপরাধ নয়। দেশের যে কোনো নাগরিক ভারত মাতার নামে যখন ইচ্ছে, যেখানে ইচ্ছে জয়ধ্বনি দিতে পারেন, বরং তাতে বাধা দান দেশদ্রোহীতার সমান।
রাজ্যের তোলামূলের অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, তারা ভারতমাতার জয়ধ্বনিতেও বাধাদান করতে পিছপা হচ্ছে না। আমি ‘ভাগবত পাঠ’ অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের বলব এই দেশদ্রোহীদের চিহ্নিত করুন, এদের মুখোশ সকলের সামনে উন্মোচন করার দরকার আছে। প্রয়োজনে এই দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”