Belda-Kanthi, Highway, সম্ভাব্য মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও সম্পন্ন হলো না বেলদা- কাঁথি রাজ্য সড়কের কাজ, সমস্যায় একাবাসীরা

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ অক্টোবর: রাস্তা শেষের সম্ভাব্য মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও এখনো অসম্পূর্ণ কাজ। ৫ এপ্রিল ২০২৩ থেকে কাজ শুরু হয়ে সম্ভাব্য শেষের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ হলেও নির্মীয়মান রাস্তার কাজ এখনো প্রায় অসম্পূর্ণ।

বছরভর ধুকে চলা কাজে বিপদসঙ্কুল এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন পথ চলতি ছোট-বড় গাড়ির চালক, মানুষ সহ এলাকাবাসীরা। ভ্রূক্ষেপ নেই প্রশাসনের অভিযোগ এলাকাবাসীদের। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই প্রকল্পে ইতিমধ্যে বহুবার বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক জন। ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এরপর সাময়িক বেড়েছে কাজের গতি। তারপর বেশ কিছুদিন গড়িয়ে গেলে আবার ধীর গতিতে চলছে এই কাজ। ফলে প্রকল্পের শেষের সম্ভাব্য তারিখ পেরিয়ে গেলেও এখনো অসম্পূর্ণ বেলদা- কাঁথি রাজ্য সড়কের এই কাজ। মূলত বর্তমানে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে জাহালদা থেকে বেলদা পর্যন্ত নির্মীয়মান এই রাস্তায়। ধীর গতিতে চলতে থাকা রাস্তার কাজের সঙ্গে আর এক বিপদ মাঝে মধ্যে দেখা দিচ্ছে, আর তা হলো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। আর এর ফলে খানাখন্দে ভরে থাকা এই রাস্তায় জমছে জল। তার উপরে বেশ কিছু বাস ও লরি দ্রুত গতিতে এই রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল ও নিত্যদিন গরুর ব্যাপারীরা এই পথ দিয়ে খাকুড়দা গরু হাটে গরু নিয়ে যাবার ফলে মানুষের যাতায়াতের পক্ষে একপ্রকার দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে এই রাস্তা।

প্রসঙ্গত, প্রায় বছরখানেক আগে বেলদা- কাঁথি রাজ্য সড়ক বেহাল হয়ে পড়ায় প্রায় ৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার এই রাস্তার নতুন করে সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের শুরুর তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২৩ থেকে প্রকল্প শেষের সম্ভাব্য তারিখ ছিল ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত। কিন্তু শেষের এই সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো প্রায় অসম্পূর্ণ এই কাজ। ইতিমধ্যেই আর কিছুদিন বাদে শুরু হচ্ছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর তার মাঝে এই বিপদ সঙ্কুল নির্মীয়মান রাস্তার উপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে পথ চলতি ছোট-বড় গাড়ি এবং মানুষদের। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে কবে সম্পূর্ণ হবে এই কাজ? সে বিষয়ে কারোর কাছে সঠিক কোনো উত্তর নেই। তবে এলাকাবাসী সহ সাধারণ মানুষ চাইছেন দ্রুত সম্পূর্ণ হোক এই রাস্তা সম্প্রসারণ ও সংস্কারের কাজ। আর সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *