তীর্থক্ষেত্রকে যুদ্ধক্ষেত্র পরিণত করেছে চিন! মানস সরোবর ও কৈলাসে সেনা ও মিসাইল মোতায়েন করেছে বেজিং

আমাদের ভারত, ২৪ আগস্ট: এবার তীর্থক্ষেত্রকে একেবারে রণক্ষেত্রে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়েছে চিন। ধর্মীয় স্থান বলেও রেয়াত করল না। কৈলাস পর্বতকে কেন্দ্র করে সব ধর্মস্থানে সেনা সহ মোতায়েন করা হয়েছে ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। এই ঘটনা ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে।

মানস সরোবরের যাওয়ার পথে চিনের এই সামরিক প্রস্তুতি উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে। বেশকিছু নির্মাণকাজের ছবিও ধরা পড়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেই নির্মাণকাজ শুরু হয়ে আগস্টের শেষ হয়েছে। সর্বশেষ উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে সে নির্মাণ কাজের ছবি।

প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ মানস সরোরে তীর্থ করতে যান। হিন্দুদের কাছে এটির বিশেষ ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু সেখানে উপগ্রহ চিত্র ধরা পড়েছে চিনের সামরিক উপস্থিতিত। গোটা তীর্থক্ষেত্র কেমন যুদ্ধক্ষেত্রে চেহারা নিয়েছে। জায়গায় জায়গায় প্রচুর চিনা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভূমি থেকে আকাশ মিসাইল সহ চিনের বিরাট সমরসজ্জা মানস সরোবরের পরিবেশে বদলে দিয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে এসে পড়েছি বলে মনে হতে পারে তীর্থযাত্রীদের।

লাদাখে ভারত-চিন সংঘাতের পর থেকেই কৈলাস মানস সরোবরের পথের ধর্মীয় স্থানগুলিতে সেনায় ভরে দিয়েছে চিন। উত্তেজনার পারদ উঠেছিল লিপুলেখ পর্যন্ত ভারত রাস্তা নির্মাণ করায়। লিপুলেখ ভারত-চীন নেপালের সংযোগস্থল, তিন দেশের সীমান্ত রয়েছে। ভৌগলিক অবস্থান থেকে এটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই লিপুলেখকে কেন্দ্র করেই সম্প্রতি দিল্লি ও কাঠমান্ডুর কূটনৈতিক সঙ্ঘাত বেঁধেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং লিপুলেখের রাস্তা উদ্বোধন করার পরেই অলি সরকার লিপুলেখকে নেপালের ভূখণ্ড বলে দাবি করেন। অভিযোগ করেন ভারত জোর করে নেপালের ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে। এই বিরোধের মধ্যেই নতুন বিতর্ক মানচিত্রে কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরার সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখকে জুড়ে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করেছে নেপাল। এমনকি এই নতুন মানচিত্র স্বীকৃতির জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে নেপাল সরকার।

এর মধ্যে দেখা যায় ধীরে ধীরে সেখানে নিজেদের বাহিনীর সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে লিপুলেখ এলাকায় সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর জন্য নির্মাণ কাজ শুরু করেছে চিন। শুধু বাহিনী মোতায়েনই নয় মিসাইল বসানো প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে বলে বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। চিন সেখানে এক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। সেইসঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার চারটি পৃথক প্লাটফর্ম রাখা হয়েছে। র‍্যাডার বসানো হয়েছে। এমনকি গাড়ি র‍্যাডারও রাখা হয়েছে আকাশ পথে হামলা এড়াতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *