লেস্টারে হিন্দু মন্দিরে হামলার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছিল, ব্রিটিশ পুলিশ ছিল নিরব দর্শক

আমাদের ভারত, ২৪ সেপ্টেম্বর: ইংল্যান্ডের লেস্টারে হিন্দু মন্দিরে হামলার আগে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালানো হয়েছিল। তা জানা সত্ত্বেও আগে থেকে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এমনকি সেই সময় পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেনি। পুলিশের উপস্থিতিতেই কয়েকশ জেহাদি হামলা চালায়। মন্দিরের কাঠামোর উপর উঠে মন্দিরের গৈরিক পতাকাটি উপড়ে ফেলে দেয়।

গত ১৭ সেপ্টেম্বরের এই ঘটনা নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইউটিউব সংবাদ চ্যানেল ডু পলিটিক্স। সেই ভিডিওতে জানানো হয়েছে, ২৮শে আগস্ট ভারত–পাকিস্তান এশিয়া কাপ ম্যাচের পর থেকেই এই গন্ডগোলের শুরু। তার পর থেকে টানা হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চলছে। ২৮ আগস্ট ম্যাচে পাকিস্তান ভারতের কাছে হেরে যায়। সেই উপলক্ষে লেস্টারে বসবাসকারী হিন্দুরা রাস্তায় ভারতের পতাকা নিয়ে মিছিল করেছিল। তারা বন্দে মাতরম এবং ভারত মাতা কি জয়, স্লোগান দেয়। সেই সময় মুসলমানরা মিছিলকে আক্রমণ করে, মারধর করে। জাতীয় পতাকা কেড়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলার চেষ্টা করে।

হামলাকারী মুসলমানদের দাবি, হিন্দুরা তাদের এলাকায় গিয়ে স্লোগান দিয়েছিল। হিন্দুরা ইসলাম বিরোধী স্লোগান, বন্দে মাতরম, ভারত মাতা কি জয় এবং জয় শ্রীরাম বলেছিল।

ডু পলিটিক্স ইউটিউব চ্যানেল জানিয়েছে, তার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার হিন্দুদের ওপর হামলা চলছে। নানা অজুহাতে রাস্তায় হিন্দুদের প্রকাশ্যে গালিগালাজ করছে, গাড়ি ভাঙ্গচুর করছে। এমনকী গাড়ির সামনে থাকা গণেশমূর্তিও ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। অনেক বাড়িতেও হামলা হয়েছে। মুসলিমদের সব থেকে বেশি রাগ নরেন্দ্র মোদীর ওপর। তাই হিন্দুদের দেখলেই মোদি কুত্তা হ্যায়, বলে স্লোগান দেয়। বিশেষ করে গুজরাটিরা বেশি আক্রমণের শিকার হচ্ছে, কারণ মোদী গুজরাটি।

২৮ আগস পাকিস্তান ভারতের কাছে হারার পর থেকেই হিন্দুদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার করা হয়। ডু পলিটিক্স জানিয়েছে, পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রচার করা হয়। সেই পোস্টগুলিতে হিন্দুদের সন্ত্রাসবাদী বলেও প্রচার করা হয়। আর মুসলমানরা ভিত্তিহীনভাবে নিজেদের নির্যাতিত বলে তুলে ধরে। তাদের এই লাগাতার প্রচারে ব্রিটেনের খ্রিস্টানরা–ও মনে করে হিন্দুরা সন্ত্রাসী।

গত শনিবার শনিবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, লেস্টারের মিল্টন রোডে হিন্দু মন্দিরে আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় টানা প্রচার করা হয়েছিল। কবে হামলা করা হবে তাও জানানো হয়েছিল। আরএসএসের মতাদর্শের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সেখানে বসবাসকারী শিখদেরও আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেই মত শনিবার শত শত মুসলমান জড়ো হয়ে হামলা চালায়। কিছুক্ষণের মধ্যে হিন্দুরাও জড়ো হয়েছিল। কিন্তু হামলাকারী এবং হিন্দুদের মাঝে পুলিশ পাঁচিলের মত দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ছিল হিন্দুদের দিকে মুখ করে। আর পুলিশের উপস্থিতিতেই হামলাকারীরা মন্দিরে ভাঙ্গচুর চালায়। মন্দিরের উপরে উঠে, মন্দিরের পতাকা উপড়ে ফেলে। মোদী কুত্তা, পাকিস্থান জিন্দাবাদ স্লোগান দেয়। টুইটারে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। একজন ছুরি নিয়ে পুলিশের ওপরও হামলা চালায়। তাতে ৬ জন পুলিশ আহত হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

ডু পলিটক্সে দাবি করা হয়েছে, সারা বিশ্বে, সর্বত্র হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়কে যখন আক্রমণ করা হয় তখন সবাই নীরব ও বোবা হয়ে থাকে। সরকার এবং অন্যান্য বিশ্বশক্তি কখনোই হিন্দু সম্প্রদায়ের রক্ষায় কোনও কথা বলে না বা কোনও পদক্ষেপও করে না। বরং হিন্দুদের ওপর আক্রমণের খবর চেপে দেওয়ার চেষ্টা করে।

শুধু সরকারই নয়, হিন্দুদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কিছু সেকুলার রয়েছে, যাদের কাজ হিন্দুদের বিরোধিতা করা। এই সেকুলার মুসলমানদের থেকেও বেশি মুসলমান। এরা নিজেদের সংস্কৃতি না জেনে, তার বিরোধিতা করে। এইসব কারণেই হিন্দুরা আজ অসহায় অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়াতে পারছে না। ডু পলিটিক্সের বক্তব্য, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে সেনাবাহিনীর পাহারা ছাড়া একজন নেতার অস্তিত্ব ভাবা যায় না। তেমনি বিপ্লবী হিন্দু বাহিনী ছাড়া এই হিন্দু রাষ্ট্রের অথবা হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব বলেও আর কিছু বাকি থাকবে না।
হিন্দু এখনো যদি না জাগে তবে আর কবে জাগবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *