আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১৫ ফেব্রুয়ারি:
আইনি সহায়তা শ্রমিক কৃষক কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনা গাইঘাটা থানার ডুমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছেকাটি গ্রামের। অভিযোগ ওই তৃণমূল সদস্য প্রশান্ত ঘোষ দলবল নিয়ে তোলা আদায় করতে এসেছিল। প্রতিবাদ করতে গেলে আইনি সহায়তা শ্রমিক কৃষক কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মী সুব্রত ঘোষকে মারধর করে। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে ওই সদস্যের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
স্থানীয় সুত্রের খবর, আইনি সহায়তা শ্রমিক কৃষক কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মী সুব্রত ঘোষের বাড়িতে শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি মিটিং চলছিল। সেই সময়ে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য প্রশান্ত ঘোষের নেতৃত্বে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী মিলে সুব্রত ঘোষের কাছে কুড়ি টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুব্রত ঘোষকে গাইঘাটা থানায় নিয়ে আসে। শনিবার আইনি সহায়তা শ্রমিক কৃষক কল্যাণ কেন্দ্র ও এ পি ডি আর সংগঠনের কর্মীরা গাইঘাটা থানার সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। গাইঘাটা থানার পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলবার পরে বিক্ষোভ তুলে নেয়। সংগঠনের সদস্য বনানী সাধুখাঁ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য প্রশান্ত ঘোষ ও আরও চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয় গতকাল এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাদের কোন কর্মী ওখানে যায়নি এবং কেউকে মারধরও করেনি। প্রশ্ন হল কোন কিছু না হলে, গাইঘাটা থানার পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে কি করে সুব্রতবাবুকে তুলে থানায় নিয়ে আসে? স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে তৃণমূলের হয়ে দালালি করছে গাইঘাটা থানার ওসি, সেই কারনে যারা তোলা নিতে বাড়িতে ঢুকে মেরে চম্পট দিল তাঁদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিলনা ওসি। অথচ যাকে মারধর দেওয়া হল তাকেই পুলিশ থানায় নিয়ে গেল। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।