আমাদের ভারত, ২৭ মে: ক্রমশই জটিল হতে চলেছে ভারত চিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক। মঙ্গলবার চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং সেনার উদ্দেশ্যে বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। একইসঙ্গে যুদ্ধ প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়ার কথাও তিনি জানিয়েছেন। আর এর থেকেই কূটনৈতিক মহলের ধারণা, ভারতের নাম উল্লেখ না করলেও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যেই কড়া বার্তা দিতে চেয়েছেন শি জিন সিংপিং।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বারবার বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছে ভারত ও চিন সেনা। সীমান্তের তিনটি সেক্টরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। ওয়েস্টার্ন সেক্টরে রাস্তা তৈরি নিয়ে আপত্তি করেছিল চিন।
অন্যদিকে লাদাখের প্যাংগং লেকে এবং উত্তর সিকিম সীমান্তে ভারতীয় সেনা এবং পিপলস লিবারেশন আর্মির নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান তথা চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পিপলস লিবারেশন আর্মি এবং পিপলস আর্মি ফোর্সের বৈঠকে বার্তা দিয়েছেন বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার প্রয়োজন আছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য জটিল পরিস্থিতিতে শক্ত হতে মোকাবিলা করতে হতে পারে। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন নৌ সেনার নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আর তাতেই বেশ কিছুটা চাপে পরেছে বেজিং। একে করোনাভাইরাসের উৎসস্থল নিয়ে এক রকম ঠান্ডা যুদ্ধে চলছে চিন ও আমেরিকার মধ্যে। তার উপর ভারত–চিন সীমান্তে উত্তেজনায় উদ্বেগ বেড়েছে চিনা রাষ্ট্রপতির। এই পরিস্থিতিতে চিনা রাষ্ট্রপতি সেনার উদ্দেশ্যে এই বার্তাকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তবে গোটা বিষয়টি নজরে রেখেছে দিল্লির সাউথ ব্লক। বুধবার তিন সেনাবাহিনীর শীর্ষ প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেছেন চিফ-অফ-স্টাফ বিপিন রাওয়াত, তিন সামরিক বাহিনীর প্রধান ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে। সূত্রের খবর, কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় সেনা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসবে না।