নোয়াপাড়া থানায় নেতাজীর স্মৃতি কক্ষ সংরক্ষণের উদ্যোগ ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৩ জানুয়ারি:
ঐতিহাসিক নোয়াপাড়া থানায় বন্দী অবস্থায় কাটানো নেতাজীর স্মৃতি বিজড়িত ঘরকে সংরক্ষণ করবে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা এদিন নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নোয়াপাড়া থানায় এসে নেতাজীর স্মৃতি বিজড়িত ঘর পরিদর্শন করে নেতাজীর মূর্তিতে মাল্যদান করে সাংবাদিকদের একথাই বলেন।

১৯৩১ সালের ১১ ই অক্টোবর দুপুরে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ঘোষপাড়া রোড দিয়ে জগদ্দলে জুটমিলের শ্রমিকদের সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় শ্যামনগর চৌরঙ্গী মোড়ে তৎকালীন ব্রিটিশ পুলিশের হাতে আটক হন। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে আসা হয় স্থানীয় নোয়াপাড়া থানায়। ১০/১২ ফুটের একটি ঘরে সেই সময় ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে বন্দী করে রাখে। এলাকারই এক বাসিন্দা নেতাজীকে সেই দিন এক কাপ চা দিয়ে ছিলেন নোয়াপাড়া থানার মধ্যে। সেই চায়ের কাপ প্লেট আজও সংরক্ষণ করা হয়েছে নোয়াপাড়া থানায়।

দেশনায়কের ১২৫ তম জন্ম উৎসব উপলক্ষে পুলিশ কর্মীরা সাজিয়ে তুলেছেন নোয়াপাড়া থানাকে। যে ঘরে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বন্দী অবস্থায় ছিলেন, সেই ঘরটি এদিন সর্ব সাধারণের দেখার জন্য খুলে দেন পুলিশ কর্মীরা। নোয়াপাড়া থানা থেকে এদিন নগরপাল মনোজ ভার্মা পথ নিরাপত্তা মাসের সূচনা হিসেবে একটি ট্যাবলোর উদ্বোধন করেন।

মনোজ ভার্মা বলেন, “নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন দর্শন থেকে আমরা শিক্ষা লাভ করছি কি ভাবে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়? কি ভাবে নারীদের সম্মান দিতে হয়? তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনকালে নেতাজী যে ভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেছিলেন তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা নোয়াপাড়া থানার মধ্যে নেতাজীর স্মৃতি কক্ষকে সংরক্ষণ করব। থানার সংস্কার হবে, নতুন বিল্ডিং নির্মাণ হবে। তবে নোয়াপাড়া থানার মধ্যে যে ঘরে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু বন্দী ছিলেন, সেই ঘরটিকে আমরা একই অবস্থায় যত্নের সঙ্গে রক্ষা করব। সেই ঘরটি সর্ব সাধারণের পরিদর্শনের জন্য খোলা থাকবে। নেতাজীর জীবন দর্শন থেকে আমরা শিক্ষা লাভ করছি। নোয়াপাড়া বাসীর কাছে তাই নেতাজী আলাদা আবেগ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *