আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১২ জুন: কবি এবং লেখক হলেও সেটা তার আলাদা স্বত্বা। কর্ম ও কর্মক্ষেত্র থেকে সেটা দূরে রেখে ব্যারাকপুরের সংগঠিত অপরাধ দমন করাই লক্ষ্য ব্যারাকপুরের নতুন পুলিশ কমিশনারের। সেই সঙ্গে মানুষের পাশে থাকার জন্য কড়া বার্তা সহকর্মীদের দিলেন পুলিশ কমিশনার মুরলি ধর শর্মা।
সর্বদা খবরের শিরনামে থাকে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত ঘটনার জেরেই মূলত নাম ওঠে ব্যারাকপুরের। আর এই ব্যারাকপুরের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে ঘন ঘন বদল হচ্ছে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার। ব্যারাকপুরের একাধিক জায়গা প্রায় প্রতি সময়েই খবরের শিরোনামে থাকে। একাধিক অপরাধের সাক্ষী এই ব্যারাকপুর। তাই বাড়তি নজর থাকে নবান্ন থেকেই। তবে আচমটাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুরকে বদলি করা হয়েছে। মাত্র ৪ মাসের ব্যবধানে বদলি করা হয়েছে অজয় ঠাকুরকে। সেই জায়গায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে ব্যারাকপুরের নগরপাল হিসাবে দায়িত্ব নিলেন নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলিধর শর্মা। তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে কমিশনারেটের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত হয়েছিলেন কমিশনারের দপ্তরে। ফুলের তোড়া দিয়ে সম্বর্ধনা জানান আধিকারিকরা।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নতুন পুলিশ কমিশনার জানান, আমি এই এলাকার প্রথম বার দায়িত্ব নিলাম। সমস্ত থানা পরিদর্শন করবো ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করবো অপরাধের উৎসস্থল গুলি। তিনি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন, সংগঠিত অপরাধ দমনই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক আরও নিবিড় করাই তার একমাত্র উদ্দেশ্য।
তবে নতুন পুলিশ কমিশনার দুধে অফিসার হওয়ার পাশাপাশি একজন লেখক এবং কবিও বটে। তবে এই ক্ষেত্রে তার লেখকের স্বত্বাটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বলেই জানালেন মুরলি ধর শর্মা। তাঁর দাবি, তিনি সকলের জন্য একজন পুলিশ কমিশনার হিসেবেই কাজ করবেন, কর্তব্য করবেন, আর তার লেখালেখিটা পৃথক অংশ। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সমস্ত পুলিশ কর্মীদের জন্য তার স্পষ্ট বার্তা, সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলে তাদের সাহায্য করাই সকল পুলিশ কর্মীর করণীয়।