আমাদের ভারত, হুগলী, ২৮ জুলাই: হুগলীর বাঁশবেড়িয়া গন্ধেশ্বরী ঘাটে সোমবার রাতে পুলিশি প্রহরায় এক করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মৃত এক রোগীর দেহ দাহ করতে আনা হয়। অভিযোগ এই ঘাটে মাঝে মধ্যেই করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহ এনে দাহ করা হচ্ছে রাতের দিকে। জনবসতি পূর্ন এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহ দাহ করা যাবে না এই দাবীতে পুলিশ কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকাবাসী। কয়েক ঘন্টা আটকে রাখা হয় পুলিশ কর্মীদের। বারবার বুঝিয়েও কোনো ফল না হওয়ায় রাতের দিকে বাড়তি পুলিশ ফোর্স নিয়ে আসা হয় এলাকায়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চার্জ শুরু করে পুলিশ। পরে পুলিশি প্রহরায় দাহ করা হয় দেহটি।

সোমবার রাতের এই ঘটনার পর টনক নড়ে জেলা প্রশাসনের। সরাসরি না বললেও বাঁশবেড়িয়া পুরসভা সূত্রে খবর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এই গন্ধেশ্বরী শ্মশান ঘাটটি করোনায় মৃতদের দেহ দাহ করার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। হুগলী জেলার সব বিধানসভা এলকাতেই এরকম একটি করে শ্মশান ঘাট নির্দিষ্ট করার চেষ্টা চলছে।
গতরাতের বিক্ষোভ এবং পুলিশের লাঠিচার্জ এর পর গোটা এলাকা স্যানিটাইজ করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দমকলের গাড়ি থেকে জল ছিটিয়ে পুরো এলাকা স্যানিটাইজ করে পুরসভার কর্মীরা। তাদের দাবি দেহ দাহ করার পরে সব যায়গাতেই একই নিয়মে স্যানিটাইজ করা হবে।



করোনা রুগী ছিলো,আর পাশেই ত্রিবেনী শশ্মান থাকতে চুল্লিতে না পুড়িয়ে কেনো লোকালয়ে পোড়ানো হচ্ছে বহিরাগতদের বডি।।