Sindoor, Bankura, জঙ্গী ঘাঁটি গুঁড়িয়ে পেহেলগাঁও- এর বদলা, বাজি পুড়িয়ে ও মিষ্টি মুখ করে আনন্দ প্রকাশ বাঁকুড়াবাসীর

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৭ মে: পেহেঁলগাও -এর বদলা হিসেবে পাক মদতপুষ্ঠ জঙ্গী ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সারা বাঁকুড়া খুশিতে মাতোয়ারা। বাজি পুড়িয়ে, মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দে মাতেন সাধারণ মানুষ।

গতকাল মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গী
ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। পেহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন ভারতীয় হিন্দুকে নৃশংস ভাবে খুন করেছিল পাকিস্তানী জঙ্গীরা। তারই বদলা হিসাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গী ঘাঁটি মিশাইলে গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রাথমিকভাবে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বুঝিয়ে দিল জঙ্গী মোকাবিলায় ভারত চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এই মিসাইল আক্রমণের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন সিঁন্দুর। এই ঘটনার পর ভারতীয়দের মনে স্বস্তি ফিরেছে, আনন্দে মেতে ওঠেন সাধারণ মানুষ।

এদিন সকালে শহরের দোলতলায় বাজি, ফটকা ফাটিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন বহু মানুষ। পথচলতি বহু মানুষ যোগ দেন তাদের সাথে। এদিন শহরজুড়ে সর্বত্রই খুশির মেজাজ। বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলে এদিন সকালে বিজেপি নেতা- কর্মীরা মিষ্টি বিলি করেন পথ চলতি মানুষ, বাসযাত্রী, যানবাহনের চালক, খালাসিদের মধ্যে। বড়জোড়ার বাজারে দোকানদার, সবজি ব্যবসায়ীদেরও মিষ্টি মুখ করান তারা।

দলের যুবনেতা সোমনাথ কর বলেন, ভারতীয় হিন্দু মেয়েদের মাথায় সিঁন্দুর দেখে তাদের স্বামীদের নৃশংস ভাবে খুন করে যে পৈশাচিক হাসি হেসেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গীরা, ভারতীয় সেনা অপারেশন সিন্দুর করে বুঝিয়ে দিল ভারতীয় মহিলাদের সিঁন্দুর কতখানি পবিত্র। সোমনাথ কর বলেন, ভগবান শ্রীরামচন্দ্র সেদিন আড়ালে থেকে বুঝেছিলেন পাকিস্তানি জঙ্গীদের দিন শেষ হয়ে এসেছে। শ্রীরামচন্দ্র যেমন রাক্ষসকূল ধংস করেছিলেন তেমনি নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানের রাক্ষসকূলকে সমূলে উৎপাটন করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *