Bankura, Heavy rain, অতি বর্ষণে বিপর্যস্ত বাঁকুড়া, ফুঁসছে জেলার নদীগুলি

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৩১ জুলাই: গত ২ মাস ধরে টানা বর্ষণে জেলার জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বুধবার সারাদিন থেকে থেকে বৃষ্টি হলেও রাত ৮ থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে নদী- নালা, মাঠঘাট জলে পরিপূর্ণ। জেলার নদ-নদীগুলির জলস্তর বেড়ে গিয়ে প্রবল বেগে ফুঁসছে। দামোদর, দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, শীলাবতী, শালি প্রভৃতি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে।

বড়জোড়া ব্লকের শালি নদীর উপর ভৈরবডাঙ্গা সেতুর উপর দিয়ে হুহু করে জল বইছে বুধবার মাঝরাত থেকে। ওই এলাকার রাওতোড়া, গরিববাটি, কানাই, নামাই, ভৈরবপুর, মুক্তাপুর সহ অন্তত ১০টি গ্রামের সঙ্গে বড়জোড়া, বেলিয়াতোড়, সোনামুখীর যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে চরম সমস্যায় সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলির অসংখ্য ছাত্র- ছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।

এদিন সকালে বড়জোড়ার বিধায়ক অলক মুখার্জি, ব্লক সভাপতি কালিদাস মুখার্জি সহ পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা জলমগ্ন সেতু পরিদর্শন করতে যান। বিধায়ক বলেন, ডিভিসির ছাড়া জলে নিম্ন দামোদর এলাকার বহু গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে বুধবার সারারাত টানা ভারী বর্ষণের ফলে শালি নদী ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। ভৈরবডাঙ্গা সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে থাকায় দু’পারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

তৃণমূলের বড়জোড়া ব্লক সভাপতি কালিদাস মুখার্জি বলেন, অতি বর্ষণের ফলে বৃন্দাবনপুর অঞ্চলের ভৈরবডাঙ্গা ব্রিজের উপর দিয়ে জল যাচ্ছে। ফলে সাময়িক বিচ্ছিন্ন কয়েকটি গ্রাম। তবে শালি নদীর উপর গাংদুয়া জলাধার জল ছাড়লে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে আর যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে শুক্রবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে।

কালিদাস মুখার্জি জানান, অতি বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছান্দার অঞ্চলের চন্দনপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দার বাড়ি। গ্রামের উজ্জ্বল আখুলী, নিমাই আখুলী, অসিত আখুলীদের পরিবারকে চন্দনপুর উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *