আমাদের ভারত, ২৪ জুলাই: বাংলা ভাষায় কথা বলায় ভিন রাজ্যে বাঙালি হেনস্তার অভিযোগে তুলে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। পথে নেমে প্রতিবাদ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই অভিযোগ বারবার একবাক্যে খারিজ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এই ইস্যুতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন বিজেপির জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী।
বৃহস্পতিবার জোড়াসাঁকোর হরিয়ানা ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে তিনি বলেন, এগুলো সব মিথ্যে কথা। আমি নিজে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেল খুলেছি। সেখানে বেশিরভাগ কর্মী বাঙালি পরিযায়ী। সেখানে কোনো বাংলাদেশি নেই। যদি কেউ বাংলাদেশি থাকেন তবে নিশ্চয়ই তাকে বাংলাদেশি বলেই চিহ্নিত করা হবে। তিনি আরো বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবেতেই বিতর্ক তৈরি করতে চান। আদতে ঘটছে না কিছুই। বাঙলাভাষীরা যেমন ছিলেন তেমনি আছেন। আমরা এই মিথ্যার বিরুদ্ধে লড়ে যাব।
২১ জুলাই- এর মঞ্চ থেকে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হলে কমিশন ঘেরাও- এর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তার পাল্টা জবাব দিয়ে তারকা বিজেপি নেতা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এর বাইরে আর কোনো উপায় নেই। তবে নির্বাচন কমিশন নিজের মত কাজ করবে। কমিশন ঘেরাও হলেও ভুয়ো ভোটারদের অবশ্যই বাদ দিতে হবে। তবেই নিরপেক্ষ ভোট হবে।
আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলের কর্মীদের উজ্জীবিত করতে ১৮ জুলাই দুর্গাপুরের মোদীর সভা থেকেই দলীয় কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দেন মিঠুন। বৃহস্পতিবার উত্তর কলকাতার ২ বিধানসভা বুথের কমিটি সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মহাগুরু। সেখানে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “অমুক দাদা, তমুক দাদা চলবে না ।আমাদের দাদা নরেন্দ্র মোদী। আমি নিচু স্তর থেকে সভা করব। আপনারা সহযোগিতা করুন। কেউ মারতে আসলে ভয় পাবেন না, প্রতিরোধ করুন। পাল্টা দিন। বিভেদ ভুলে একসাথে মাঠে নামতে হবে। বুথে বুথে মানুষের কাছে যেতে হবে। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোনো নতুন, পুরনো নয়। আমরা সবাই একসাথে বিজেপি সরকার গড়বো।”