আমাদের ভারত, ৭ জুন: তিনি যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানে। লাঠি তুলে নেমেছিলেন সেখানে রাস্তায়। আবার সেই আন্দোলনকারীর নাম রয়েছে এপার বাংলার ভোটার তালিকায়। এই অভিযোগ তুলে সরব বিজেপি। এই ঘটনা আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেটার বাংলাদেশ গড়ার নীল নক্সা বলে দাবি করেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
ঘটনাটি ঘটেছে বাংলার কাকদ্বীপে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার নাম নিউটন কে দাস। তিনি কাকদ্বীপের স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের দাস পাড়ার বাসিন্দা। এপার বাংলায় প্রথম এসেছিলেন নিউটনের দাদা তপন দাস। ২০১১ সালে বাংলায় এসে পরবর্তী সময়ে ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলেছেন। পরে দাদার পেছন পেছন বাংলায় ঢুকে পড়েন নিউটন বলেও অভিযোগ। কাকদ্বীপের নামখানা এলাকায় একটি স্কুলে পড়াশোনা করেছে সে।
সম্প্রতি সেই নিউটনের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিতে দেখা গেছে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে সামিল নিউটন। তাহলে কি পড়াশোনা শেষ করে নিজের দেশে ফিরে গেছে সে? তাহলে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় তার নাম কী করে রয়েছে? নিউটনের নাম উঠেছে চলতি বছরের ভোটার তালিকায়। এমনকি সুন্দরবনের সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ দাসের সঙ্গে নানা জায়গায় দেখা গেছে বাংলাদেশি নিউটনকে। সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা গেছে নিউটনের জন্মদিন পালন করছেন সেই শাসক দলের ছাত্র পরিষদের নেতা।
এই ঘটনায় সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “তথাকথিত এগিয়ে বাংলা মডেলের আরও একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় যে নিউটনকে লাঠি হাতে দেখা গিয়েছিল, তিনি এখন পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপের একজন নিবন্ধিত ভোটার। ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়োর ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস শুধু বোমা তৈরি শিল্প, কাটমানি শিল্পই নয়, বরং সমৃদ্ধ অবৈধ অনুপ্রবেশ শিল্পেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া বাংলার মানুষ কখনোই এই মডেলের ব্যপ্তি বুঝতে পারত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রবেশ তত্ত্ব এবং তার সাথে রাজনীতির সৌজন্যে বাংলার হাজার হাজার বাংলাদেশি নিউটন ভোট দিচ্ছেন। অবৈধ ভোটার এবং এই লাঠি চালক, দুর্বৃত্তদের সমর্থনের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ চালাচ্ছেন। না তিনি বৃহত্তর বাংলাদেশের জন্য একটি নীল নকশা তৈরি করছেন।
যদিও নিউটনের দাদা তপন দাস জানিয়েছেন, চার বছর হলো যোগাযোগ নেই তাদের। ও সেখানে থাকে না। এই বাংলায় পড়াশোনা করতে এসেছিল। তারপর আবার বাংলাদেশ চলে যায়। ও বাংলাদেশেরই ভোটার, কিন্তু এখানে কিভাবে ওকে ভোটার করা হয়েছে, তা আমি জানি না। অনেক বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে চলাফেরা করতো। বিজেপির অভিযোগ, শাসক শিবিরের ঘনিষ্ঠতাকে হাতিয়ার করে নিউটন ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছে।