সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২০ জুলাই: বাংলাদেশে কোটার ভিত্তিতে চাকরির বিরোধিতা করে ছাত্র আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। এরই প্রভাব দেখা গেল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত পেট্রাপোলে। পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি রফতানি বন্ধ করল বাংলাদেশ সরাকার। বাংলাদেশের যাত্রী প্রবেশ একেবারে বন্ধ বললেই চলে। যার ফলে সমস্যায় পড়েছে পেট্রাপোল সীমান্তের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশের কোটা চাকরির বিরোধিতা করে ছাত্র আন্দোলন এক বিশাল রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকার জারি করেছে কারফিউ। পরিস্থিতি বলা যেতে পারে একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ২০০ জন। এই পরিস্থিতির মধ্যে ধুঁকছে পেট্রাপোল বন্দরের একাধিক ব্যবসায়ী। যাত্রীর অভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে একাধিক বাস পরিষেবা। বাংলাদেশ থেকে একে একে ফিরে আসছে ভারতীয় যাত্রীরা। বাংলাদেশ থেকে ফেরা এমনই এক যাত্রী বাপন দাস জানান, আন্দোলনের জেরে চোখের সামনে গুলি চলছে দেখছি। এমনকি বহুতল বিল্ডিং আগুলে জ্বলতেও দেখেছেন। এমনই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন।
বাংলাদেশের ঢাকা থেকে আসা স্টামফোর্ড ইউিভার্সিটির এক ছাত্র এই আন্দোলনকে সমর্থন করে জানান, ২০% কোটা থাকুক আর বাকিটা মেধা। ছাত্র আন্দোলনকারীদের মুক্তি যোদ্ধাদের সাথেও তুলনা করেন তিনি।
ভারতীয় এক ক্লিয়ারিং এজেন্ট কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, সকাল থেকে ৩০টি ট্রাক বাংলাদেশে গিয়েছে, তার পরই বন্ধ হয়ে যায় আমদানি রাফতানির কাজ। প্রতিদিন এই বন্দর থেকে প্রায় ৪০০ ট্রাক আমদানি রফতানির কাজ করে। কাঁচা মালগুলি রাস্তায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা। বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই অচল অবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।