আমাদের ভারত, ১৬ অক্টোবর: দশমীর দিন হামলা চালানো হয়েছে নোয়াখালির ইসকন মন্দিরে। ঘটনায় নিহত হয়েছেন একজন ভক্ত। তাঁকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া আর সেই হামলার প্রতিবাদে এবার মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের দ্বারস্থ হলেন ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
উৎসবের মরসুমেই একের পর এক হামলায় কার্যত কোণঠাসা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়। অষ্টমীর রাত থেকেই বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই জ্বলছে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন। এই কয়েকদিনে বাংলাদেশের কুমিল্লা, চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় একাধিক মন্দিরে হামলা চালিয়ে দুর্গা প্রতিমা ভেঙ্গে ফেলার ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদিও মুখে আশ্বাস দিয়েছেন যে কোনওভাবেই হিন্দুদের ওপর এই অত্যাচার সহ্য করবে না বাংলাদেশ সরকার কিন্তু হাতে কলমে কার্যত কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফ থেকে।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ ইসকনের তরফ থেকে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘ইসকন মন্দির এবং মন্দিরের ভক্তদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় মন্দিরের মারাত্বক ক্ষতি হয়েছে এবং একজন ভক্তের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।’
এর পরেও ইসকনের পক্ষ থেকে মন্দিরের ক্ষয় ক্ষতির একাধিক ছবি টুইটারে প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে কোথাও মন্দিরের জিনিসপত্রে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার প্রসাদের ভোগ ফেলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে ইসকন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের একটি মূর্তি ভেঙ্গে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এরপরেই বাংলাদেশ ইসকন কর্তৃপক্ষ সরাসরি ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয়েছেন সহায়তার দাবি জানিয়ে। অপর একটি টুইটে ইসকন কর্তৃপক্ষ অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের মূর্তিটির ভগ্নাবশেষের একটি ছবি টুইটারে প্রকাশ করেছেন এবং তাতে লিখেছেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস (ইসকন)-এর আচার্য প্রতিষ্ঠাতা ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের মূর্তি আজ বাংলাদেশের নোয়াখালিতে পোড়ানো হয়েছে।’ ওই টুইটেই তারা ভারত ইসকন, মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন, কংগ্রেস নেত্রী তুলসী গ্যাবার্ড, দ্বারকার ইসকন ইত্যাদি খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি ওই টুইটেই ইসকন লিখেছে, ‘ধিক্কার, জাতিসংঘ’।
তবে শুধু ইসকন নয় স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের শতাধিক মন্দির এবং দুর্গাপুজো মণ্ডপ ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই কয়েকদিনে। হামলা চালানো হয়েছে লোকনাথ মন্দির, বৌদ্ধ মন্দিরেও। প্রসঙ্গত, এই হিংসার ঘটনায় বেসরকারিমতে অন্তত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
I had a faith in Shikh Hasina, PM of Bangladesh, but due to carnage recently happened there my trust has been toppled from her.
Alas! Still there is no change of fanatic in the concept of present generation of the youth of Bangladesh whose forefathers once struggled against the fasist Government of Pakistan in 1970 with the neck and neck of the other religions people particularly Hindu Bengalis. An irony of fate due poor outlooks they have forgotten all and becoming gradually as digital pupet being controlled by Pakistan, once upon a time the greatest enemy of them!!
What a tragedy!!!