তপনে বাংলা আবাস যোজনায় বিপিএলের টাকা ঢুকছে এপিএল পরিবারে, কাঠগড়ায় ব্লক প্রশাসন জেলাশাসকের দ্বারস্থ অসহায় পরিবার

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৯ ডিসেম্বর: বাংলা গ্রামীণ আবাস যোজনায় লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ তপনে। বিপিএল পরিবারের ঘরের টাকা ঢুকলো এপিএলের অ্যাকাউন্টে। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ব্লক প্রশাসনের ভূমিকা। সালিশি সভা ডেকে টাকা ভাগ করার চেষ্টা স্থানীয় নেতৃত্বদের। ঘটনার বিচার চেয়ে মহকুমা শাসক ও জেলা শাসকের দ্বারস্থ অসহায় মহিলা। তপন ব্লকের আজমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বজ্রাপুকুর এলাকার এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে জেলা জুড়ে।

জেলা শাসক নিখিল নির্মল জানিয়েছেন, বিডিও তদন্ত করছেন। রিপোর্ট হাতে পেলেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তপনের উত্তর বজ্রাপুকুরের বাসিন্দা পেশায় মৃৎশিল্পী সন্তোষ রায়। কাগজ কলমে এই নাম থাকলেও এলাকায় অন্তোষ রায় নামেই পরিচিত। স্ত্রী কামনা রায় সহ পরিবারে তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে সংসার সন্তোষবাবুর। বিপিএল পরিবার ভুক্ত হওয়ায় বাংলা গ্রামীণ আবাস যোজনার ঘর আসে তারই নামে। নিয়ম অনুযায়ী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নাম দিয়ে ওই তালিকাও প্রকাশ করা হয় বিডিও অফিসে। অভিযোগ ওই ঘরের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা তার দাদা সন্তোষ রায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। দাদা ভাই দুজনের নাম কাগজ কলমে একই হওয়ায় দপ্তরের ভুল ভেবে বিষয়টি নিয়ে বিডিও অফিসে দরবার করেন ভাই সন্তোষ রায়। কিন্তু দপ্তরের অনীহায় সেই কাজ সম্ভব হয়নি। উল্টে এলাকার স্থানীয় নেতৃত্বরা সালিশি সভা করে দুই পরিবারের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি করে বিষয়টি মিটিয়ে নেবার পরামর্শ দেন। অভিযোগ, এপিএল পরিবার ভুক্ত হওয়া সত্বেও ওই টাকা কিভাবে দাদা সন্তোষের একাউন্টে ঢুকল। এমন সব ঘটনা জানিয়েই সোমবার বালুরঘাট মহকুমা শাসক ও জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিপিএল পরিবার ভুক্ত সন্তোষ রায়ের স্ত্রী কামনা রায়।

কামনা রায় জানিয়েছেন, বিপিএল পরিবার ভুক্ত হওয়ায় তাঁদের নামে ঘরের টাকা এসেছিল। কিন্তু ওই টাকার প্রথম কিস্তি অন্য অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। সমস্যা জানিয়ে বিডিও অফিসের দরবার করলেও তারা তা কর্নপাত করেন নি। বাধ্য হয়েই জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সন্তোষ রায়ের মেয়ে টুকি রায় জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই তার বাবার নাম ভুল ছিল। বিপিএল কার্ড থাকায় তাদের নামে ঘরের টাকা আসে। কিন্তু সরকারি দপ্তরের গাফিলতিতে এবং দুর্নীতির কারণে ওই টাকা তাঁর জেঠুর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। সরকারি দপ্তর বিষয়টি নিয়ে নির্বিকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *