বন্দে ভারতে ৪র্থ বার হামলা! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি হামলাকারীদের সাথে নিরবে বোঝাপড়া করেছেন? প্রশ্ন সুকান্তর, দেশবিরোধী কাজ বললেন দিলীপ

আমাদের ভারত, ৯ জানুয়ারি: ফের আক্রান্ত হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের ট্রেন পরিষেবা শুরু হবার আট দিনের মধ্যে এই নিয়ে চতুর্থবার আক্রান্ত হল দেশের অত্যাধুনিক এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন। যাত্রীদের দাবি, চতুর্থ দফায় ট্রেনটি আক্রান্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সীমানার মধ্যেই। সম্ভবত বর্ধমানে ঢোকার আগে কোনো জায়গায়। আর এই ঘটনার পরেই সরব হয়েছেন বিজেপি নেতারা। সুকান্ত মজুমদার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী কেন কোনো কড়া পদক্ষেপ করছেন না? তার সাথে কি হামলাকারীদের নিরব বোঝাপড়া হয়েছে? অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ এই ঘটনাকে দেশবিরোধী বলেছেন। একই সঙ্গে তার মন্তব্য হামলাকারীরা কি বিহারের নাকি বাংলাদেশের?

প্রথমবার মালদা লাগোয়া দক্ষিণ দিনাজপুরের অন্তর্গত কুমারগঞ্জে বন্দে ভারতে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে পরশি রাজ্য বিহারে। সে ক্ষেত্রে ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে রেল। যদিও তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে সেটিও বিহারে। বারসইয়ের কাছে তৃতীয় হামলার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানিয়েছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই চতুর্থ হামলা হলো। যাত্রীদের দাবি, এবারের হামলাটি চালানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সীমানার মধ্যেই।

সোমবার নির্দিষ্ট সময় এনজিপি পৌঁছায় বন্দে ভারতে এক্সপ্রেস। ট্রেন থেকে নেমে যাত্রীরা জানিয়েছেন, হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি আসার সময় হুগলির চন্দনপুরের কাছে বন্ধে ভারত এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। রেল সূত্রে খবর, ট্রেনের সি ফাইভ কামরার একটি জানলার কাঁচ ও দরজায় এসে পড়েছিল উড়ন্ত পাথর। এর ফলে ট্রেনের একটি জানলার কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এনজিপিতে ট্রেন পৌঁছাতেই তৎপরতা শুরু হয় রেল পুলিশের। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।

বন্দে ভারতের উপর একের পর এক হামলার ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এক্ষেত্রে কেনো কোনো পদক্ষেপ করছেন না কেন? সেই প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “বার বার বন্দে ভারতের উপর হামলা হয়ে চলেছে। এর ফলে একদিকে যেমন যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন অন্যদিকে রাজ্যের বদনাম ছড়িয়ে পড়ছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো কড়া পদক্ষেপ করছেন না। তিনি কি হামলাকারীদের সাথে নিরবে বোঝাপড়া করেছেন?”

অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ বন্দে ভারতের উপর এই ঘটনাকে দেশ বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছেন। তার সাথে তিনি আর প্রশ্ন তুলেছেন, হামলাকারীরা কি বিহারের নাকি বাংলাদেশের? তিনি বলেছেন এর আগে রেল দ্বারা হামলার যে ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে তাতে হামলার জায়গাটা যে বিহার সেটা স্পষ্ট নয়। বরং ওই এলাকার কাছাকাছি রেলের নম্বরের ফুটেজ প্রকাশ করলে জায়গাটা কোথায় বোঝা যেতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *