আমাদের ভারত, ৫ সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও বৌদ্ধ সমাজের উপর অবিরত অত্যাচারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে প্রস্তাবিত ধর্না ও বিক্ষোভের পরিকল্পনা আটকে দিল দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার দিল্লির যন্তরমন্তর প্রাঙ্গণে এই অবস্থানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সোমবার রাতেই পুলিশ জানিয়ে দেয় সেখান সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি আগমন উপলক্ষে এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল ‘প্রবাসী বঙ্গীয় সমাজ দিল্লি-এনসিআর’, ‘অল ইণ্ডিয়া রিফিউজি ফ্রন্ট কলকাতা’ এবং অন্যান্য বাঙ্গালি ও উদ্বাস্তু সংগঠন।
‘অল ইণ্ডিয়া রিফিউজি ফ্রন্ট’-এর তরফে মোহিত রায় সোমবার রাতে এই প্রতিবেদককে ঘটনাস্থল থেকে জানান, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি এসেছেন। এই অবস্থায় পুলিশ আমাদের জানিয়েছে কোনও অবস্থান বিক্ষোভ চলবে না। যদিও আমরা আগে পুলিশকে মঙ্গলবার ১১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনার কথা লিখিত জানিয়েছিলাম। স্থানীয় থানা তা ছাপ মেরে গ্রহণ করেছিল। এখন আমরা জোর করে ধর্না চালাতে গেলে পুলিশ গ্রেফতার করে নেবে।“
মোহিতবাবু জানান, শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। এই উপলক্ষে আমরা শ্রীমতী শেখ হাসিনার কাছে কিছু দাবি পেশ করতে চাই। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও বৌদ্ধ সমাজের উপর অবিরত অত্যাচারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁর ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি দাবি করছি।“
‘প্রবাসী বঙ্গীয় সমাজ দিল্লী-এনসিআর’-এর অজিত পাল ও পদ্মনাভ ভাদুড়ী-র অভিযোগ, এক বছর আগে দুর্গাপুজার সময় সারা বাংলাদেশ জুড়ে পূজা মণ্ডপ, মন্দির ও হিন্দু বসতিতে প্রায় ২০০টি আক্রমণ সংঘটিত হয়। এই সময় পুলিশ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে। এ বছর পূজার সময় আসতেই ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি স্থানে দুর্গা প্রতিমা ভাঙ্গচুর করা হয়েছে।“