অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ১৬ অক্টোবর: ‘এ লগন গান শোনাবার’। এই শিরোনামে রবিবার আয়োজিত হল বালিগঞ্জ রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংসদের ‘বিজয়া-সম্মিলনী’।
বিদ্যালয় ভবন তৃতীয় তলে সত্যজিৎ রায় সভাঘরে এদিনের অনুষ্ঠানে স্মরণ করা হয় লতা মঙ্গেশকর, বিরজু মহারাজ, বাপী লাহিড়ী, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও কৃষ্ণকুমার কুননথ (কেকে)-কে। শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রয়াত প্রাক্তনীদের স্মৃতির উদ্দেশে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌম্য শংকর রায় ও তাঁর স্ত্রী অমৃতা রায়ের যন্ত্র ও কন্ঠ সঙ্গীত দিয়ে শুরু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গীতের মূর্চ্ছনার দুটি টুকরো, এর পর একে একে কালজয়ী নানা গান— ‘মনে পড়ে রুবী রায়’-‘মেরি ভিগি ভিগি সে‘, ‘তুমি না হয় রইবে কাছে’, ‘ঝুম ঝুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা‘, ১৯৬৪-র ‘ও কৌন থি’-তে লতা পরিবেশিত ‘লগ জা গলে’ প্রভৃতি। ‘জীবনে কী পাব না’-র সঙ্গে নাচতে শুরু করেন প্রাক্তনী সংসদের সভাপতি সুমিত ঘোষ, সম্পাদক যুধাজিৎ মুখোপাধ্যায়-সহ প্রবীন অনেকেই ফিরে গেলেন তাঁদের যৌবনের দিনগুলোয়।
অমিতাভ চন্দ, দিলীপ সমাজপতি-সহ প্রয়াত প্রাক্তনীদের সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন সংসদের সভাপতি, সম্পাদক এবং প্রবীন প্রাক্তনী তথা প্রাক্তন আমলা প্রসাদ রঞ্জন রায়। গানে গানে শ্রদ্ধা জানান রুক্মিনী মুখোপাধ্যায়। এ ছাড়া এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিল গৌতম শীলের গাওয়া ‘আষাঢ় শ্রাবন মানে না তো মন’, ‘যেতে যেতে পথে হল দেরী’, দিয়া রায়চৌধুরীর আবৃত্তি, শুভেন্দু শেখর দাসের যন্ত্রসঙ্গীত ও সুস্মিতা চ্যাটার্জী এবং তাঁর দলের পরিবেশনায় কত্থক। শিল্পী ও সহশিল্পীদের অনুষ্ঠানে সম্বর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সঞ্জয় দাশগুপ্ত।
স্কুলের পালাশেষে সহপাঠীরা ছড়িয়ে পড়েছিলেন পড়াশোনা আর কাজের নানা ক্ষেত্রে। এদিন এসেছিলেন অনুষ্ঠানে। অনেকে কয়েক দশক বাদে ছেলেবেলার বন্ধুদের কাছে পেয়ে আপ্লুত। সবার মনে ছিল একটা মূর্চ্ছনা— আবার হবে তো দেখা।