আমাদের ভারত, ২৫ জানুয়ারি:সপ্তাহ দেড়েক আগে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী স্টেশনে শীতের রাতে বজরং দল এক যুগলকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেনের কামরা থেকে জোর করে নামিয়ে দিয়েছিল। তরুণকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল বজরং দলের বিরুদ্ধে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গিয়েছিল, বজরং দল আপত্তি জানিয়েছে এক হিন্দু মহিলাকে নিয়ে কেন এক মুসলিম ব্যক্তির সফর করবেন? বজরং দল দাবি করেছিল তাদের তৎপরতায় এই “লাভ জিহাদ”রোখা গিয়েছে। পরবর্তীতে যুবতীর বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে দুজনকে ছেড়ে দেয় আরপিএফ। কিন্তু এবার জানা গেল সেই মুসলিম তরুণের বিরুদ্ধে জোর ধর্মান্তকরণ ও ব্ল্যাকমেল করে বিয়ে করার চাপ দেওয়ার অভিযোগে করেছে ওই যুবতী। ধর্মান্তরকরণ বিরোধী ধারায় ওই মুসলিম তরুণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভূপাল পুলিশ।
১৪ জানুয়ারি মুসলিম যুবক ও তার সফরসঙ্গী হিন্দু যুবতীকে ট্রেন থেকে নামায় বজরং দল। তরুণকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আরপিএফ ওই যুগলকে থানায় নিয়ে যায়। পরে বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে ওই দুজনকে ছেড়ে দেয় রেল পুলিশ। কিন্তু ভোপাল পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনার ১০ দিন পর ওই যুবতী ওই মুসলিম তরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে।
ওই যুবতী তার অভিযোগপত্রে বলেছে তার স্বামীর বন্ধু ওই ব্যক্তি তাদের বাড়িতে নিত্য যাতায়াত ছিল। কয়েক মাস আগে ওই ব্যক্তি তার বেশ কিছু আপত্তিকর ছবি তোলে। যুবতীর অভিযোগ ওই ব্যক্তি তার ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং তার কাছে টাকা দাবি করে।
অভিযোগপত্রে ওই যুবতী আরও জানিয়েছেন কিছুদিন আগে থেকেই ওই ব্যক্তি ওই মহিলাকে ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। যুবতীর দাবি চাপের মুখে পড়ে তিনি বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন। অভিযুক্ত ওই মুসলিম ব্যক্তি তাকে জোর করে আজমের নিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু তার আগেই বজরং দলের লোকেরা তা রুখে দাঁড়ান।
কিন্তু রেল পুলিশ তাদের উজ্জয়নী স্টেশনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি এ কথা কেন জানান নি? যুবতীর দাবি সেই সময় তিনি অত্যন্ত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন, তাই অভিযোগ করেননি। ভূপাল পুলিশ জানিয়েছে তারা অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছে।