আমাদের ভারত, হাওড়া, ২৮ অক্টোবর: অষ্টমীর রাতে বাগনানের বেনাপুর মাজীপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বিজেপি নেতা কিঙ্কর মাজীর মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার বাগনান বিধানসভা এলাকায় ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দিল বিজেপি। বুধবার দুপুরে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বিজেপি নেতার। আর তারপরেই নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে বনধের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি।
প্রসঙ্গত, অষ্টমীর দিন রাত ১০টা নাগাদ বিজেপি নেতা কিঙ্কর মাজী বাড়ি ফেরার সময় ৩ দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে তার পথ আটকে দাঁড়ায়। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী পরিতোষ মাজী বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি কিঙ্কর মাজীর পেটে লাগলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনার পরেই ৩ দুষ্কৃতী এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা তাড়া করে ছোট্টু মাইতি নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এদিকে কিঙ্কর মাজীকে প্রথমে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালেপরে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বুধবার দুপুরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসনের বক্তব্য, করোনা আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি নেতার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। বাগনান সহ একাধিক এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি কর্মীরা। খবর পেয়ে বাগনানে পৌঁছান বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি শিব শঙ্কর বেজ, সহ-সভাপতি রমেশ সাধুখাঁ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, এলাকায় অশান্তি পাকানোর লক্ষ্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাদের দলের নেতাকে গুলি করে খুন করেছে। এমনকি আসল তথ্য চাপা দিতে করোনাকে হাতিয়ার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন বিএনপি নেতারা।
যদিও একটি পারিবারিক বিবাদকে বিজেপি রাজনীতির রং লাগাতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন। তিনি বলেন বিজেপি অহেতুক এটাকে নিয়ে রাজনীতি করছে।
ঘটনা সম্পর্কে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায় জানান, মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিতে খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
বাগনানের ঘটনা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল যেভাবে রাজ্যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে আগামীদিনে মানুষের যোগ্য জবাব দেবে। তিনি বলেন, তৃণমূল যতই চেষ্টা করুক ২০১২-এর নির্বাচনে তাদের পরাজয় নিশ্চিত।