আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১ ডিসেম্বর: পোকা কিলবিল করছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না করা সোয়াবিনে। খাবার খেয়ে অসুস্থ শিশুরা। চাঞ্চল্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোল্লাপাড়ায়। ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা ক্ষোভ ওই সেন্টারের কর্মী ও সহায়িকার বিরুদ্ধে। স্থানীয় ৪৪৩ নং অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই উঠেছে চরম উদাসীনতার অভিযোগ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শনিবার সেন্টার থেকে বিলি করা ওই পোকা ধরা খাবার খেতেই একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে গোল্লাপাড়া এলাকার বেশকিছু শিশু।
ক্ষুব্ধ শিশুর অভিভাবক চুমকি বর্মন ও জনতা রায়রা জানিয়েছেন, শিশু ও মায়েদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেন না কেন্দ্রের দিদিমণি ও সহায়িকা। জেনে বুঝেই পোকা ধরা খাবার বিলি করা হয়েছে। যা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এলাকার বেশকিছু শিশু। এমন ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা।
জানা যায়, হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোল্লাপাড়া গ্রামে ২০০৭ সালে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েই শুরু হয় গোল্লাপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটি। বর্তমানে ওই সেন্টারে মা ও শিশু মিলিয়ে ৬০ জন সদস্য রয়েছে। কেন্দ্রে দিদিমণির দায়িত্বে রয়েছেন গীতা সরকার এবং সহায়িকা পদে কর্মরত দীপিকা বর্মন। শনিবার সেখান থেকেই কেন্দ্রের সহায়িকা খিচুড়ির সাথে পোকা ধরা সোয়াবিনের তরকারি বিলি করে বলে অভিযোগ। সেন্টার থেকে সামান্য দূরের বাসিন্দা এক মহিলা ওই খাবার তাঁর শিশুকে খাওয়াতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সোয়াবিনে বড় বড় পোকা কিলবিল করতে দেখে অবাক হয়ে পড়েন তিনি। এদিকে ওই খাবার খেতেই একে একে বেশকিছু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে এলাকায়। যাকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। রবিবার ওই সেন্টার বন্ধ থাকায় বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের দিদিমণি ও সহায়িকাকে অভিযোগ জানাতে পারেননি ওই মহিলা। ঘটনা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেবার পাশাপাশি ওই পোকা ধরা খাবার সযত্নে রেখেও দেন তিনি। সোমবার সেন্টার খুললেই তা সকলের সামনে তুলে ধরে ওই কেন্দ্রের দিদিমণি ও সহায়িকাকে বিক্ষোভ দেখাবেন বলেও জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
এলাকার বাসিন্দা সৈমুদ্দিন কবিরাজ ও আজিজুর সরকাররা বলেন, শিশুদের এধরণের খাবার বরদাস্ত নয়। শনিবার এমন পোকা খাবার দিয়েই চলে গেছে সেন্টারের কর্মী ও সহায়িকা।
যদিও এমন ঘটনায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িয়া দীপিকা বর্মন বলেন, এর আগে এমন ঘটনা হয়েছিল। তিনি দিদিমণিকে বিষয়টি জানিয়েওছিলেন । শনিবার তিনি রান্না করেননি।
জেলা শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক দিব্যেন্দু দত্ত বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।