স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২৪ মে: চরম কষ্ট করে ভয়াবহ করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বাই থেকে নিজেদের উদ্যোগে বাসে চেপে গ্রামে ফিরেও ঠাঁই হল না বাড়িতে বা হোম কোয়ারেন্টাইনে। অবশেষে গ্রামের ফাঁকা জায়গায় জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে রাত কাটাতে হচ্ছে রায়গঞ্জ বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের শিসগ্রাম গ্রামের প্রায় ৫০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের।
এমনই চিত্র দেখা গিয়েছে বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের শিসগ্রাম সহ কয়েকটি গ্রামে। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে যতদিন না এদের করোনা টেস্টের সুস্থতার রিপোর্ট মিলবে ততদিন গ্রামেরই বাসিন্দা এই পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রামে ঢুকতে দেবেন না বর্তমান বাসিন্দারা এমনই নিদান জারি করা হয়েছে। ফলে চরম অসহায় অবস্থার মধ্যে ঝড় জল বৃষ্টি সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন প্রায় ৫০ জন পরিযায়ী শ্রমিক।
গাছের নীচে তাঁবু খাটিয়ে নিজেরাই রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন আর অপেক্ষায় আছেন স্বাস্থ্য দপ্তর কবে তাদের করোনামুক্ত সার্টিফিকেট দেবেন। শিসগ্রামের বাসিন্দারাই গ্রামের ফাঁকা জায়গায় তাঁদের থাকার জন্য পলিথিন দিয়ে তাঁবু তৈরি করে দিয়েছেন। সেই তাঁবুতেই ঝড় জল বৃষ্টির মধ্যে রাত কাটাতে হচ্ছে মুম্বাই থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের। শ্রমিকদের অভিযোগ, সরকার থেকে তাদের কোনওরকম সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে না। হাজার মাইল দূর থেকে বাড়ির সামনে এসেও বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না তাঁরা। এমনকি পরিবারের লোকজনের সাথে দেখাও করতে পারছেন না। যদিও গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন ১৪ দিন এভাবেই থেকে সরকারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা মুক্ত হলে তারা নিজেদের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারবেন।