Devdutta Maji, Mamata, Humayun, বাবরি মসজিদ শিলান্যাস, হুমায়ুন মমতার গোপন আঁতাত! তৃণমূল বিধায়ককে সাসপেন্ড করা মুখ্যমন্ত্রীর কৌশল, বিস্ফোরক দাবি দেবদত্ত মাজির

আমাদের ভারত, ৬ ডিসেম্বর: হুমায়ুন কবিরকে যে সাসপেন্ড করা হয়েছে এটা পুরোপুরি একটা সাজানো নাটক, মুখ্যমন্ত্রীর কৌশল। হুমায়ুন- মমতা গোপন আঁতাত রয়েছে। মুসলিম ভোটকে কেন্দ্রীভূত করা ও হিন্দু ভোট ধরে রাখতেই মুখ্যমন্ত্রী কৌশল করেছেন বলে দাবি বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজির।

লাগাতার কয়েক দিন ধরে জল্পনা, বিতর্ক, রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর আজ মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস হয়ে গেল। এই বাবরি মসজিদের শিলান্যাস আসলে হুমায়ুন- মমতার গোপন আঁতাত বলেই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি। তিনি বলেন, “মমতার চিন্তা শুরু হয়েছে। তার এখন হিন্দু ভোট দরকার। কিন্তু পার্টিতে থেকে যদি বাবরি মসজিদ তৈরির উদ্যোগ নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাহলে হিন্দু ভোট প্রভাবিত হবে। তাই নিজে কৌশল করে নিজেদের মধ্যে থেকে হুমায়ুন কবীরকে আলাদা রাখলেন। যাতে সে সেখানে বাবরি মসজিদ তৈরি করতে পারে। আর সেক্ষেত্রে রাজ্যের যে যে প্রশাসনিক সাহায্য প্রয়োজন সে সবরকম সাহায্য পাবে। সেখানে শিলান্যাসে হাজার হাজার লোক আসবে। মুসলিমদের নিয়ে আনন্দ উৎসব করা হবে। এতে পিছন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরোপুরি সাপোর্ট থাকবে।”

তাঁর কথায়, হুমায়ুন কবীরকে বের করে দেওয়া আসলে একটা গিমিক। হিন্দু ভোটকে ধরে রাখার চেষ্টা।

সনাতনীদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, এই সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে হিন্দুদের সজাগ থাকতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, হুমায়ুন কবীর ওখানে একটি হিংসার পরিবেশ তৈরি করবে। সেটাকে প্রতিহত করার মতো প্রস্তুতি হিন্দুদের থাকা দরকার।

তিনি আরো বলেন, ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন যারা অমুসলমান তারা দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মায়। অমুসলিমদের মুসলিম করো। সেই ফিরহাদ হাকিমকে এত বড় কথা বলার পরেও কেন সাসপেন্ড করা হলো না? সেখানে হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করা থেকে স্পষ্ট, এটা পরিকল্পিত।

অন্যদিকে বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালব্য বলেছেন, রাজনৈতিক লাভের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে ব্যবহার করে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোটকে মেরুকরণের চেষ্টা করছেন। তাঁর অভিযোগ, বকলমে বাবরি মসজিদ নির্মাণে মমতা এবং তার পুলিশ সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে সহযোগিতা করছে। তাঁর দাবি, বাবরি মসজিদ নির্মাণ কোনো ধর্মীয় উদ্যোগ নয়, এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট। রাজ্যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি করে ভোট ব্যাঙ্ক মজবুত করার কৌশল। তাঁর দাবি, এতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে না বরং গোটা বাংলার শান্তি, স্থিতিশীলতা বিপন্ন হবে। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে তৃণমূল বলে অভিযোগ মালব্যের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *