স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১৩ জুন: “বাপ কা বেটা সিপাহি কা ঘোড়া, কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া।” আরাবুল ইসলামের ছেলের গাড়িতে বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ তিনি বলেন, কলেজের অধ্যাপিকাকে যখন জগ ছুঁড়ে মেরেছিল তখনই তো পুলিশ আরাবুলকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের সেই সাহস নেই। যতদিন তৃণমূল ক্ষমতায় থাকবে ততদিন লাফালাফি করবে৷ তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত হলে ইঁদুরের গর্তে ঢুকে পড়বে৷
তিনি আরও বলেন, “শওকত মোল্লা গোটা ভাঙড় নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা আগেই বলেছিলাম পুলিশকে দিয়ে ভোট হবে না। তার কারণ পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ গুলি চালাতে পারে না। সেজন্য তাদের কেউ ভয় পায় না। বোমা মারছে তাদের লক্ষ্য করে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বন্দুকের নলে মাকড়সার জাল বিছিয়ে গেছে। গুলি চালাতে পারে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে কারো ক্ষমতা ছিল না বোমাবাজি করার।”
সুকান্তবাবু আরও বলেন, “তৃণমূলের গুণ্ডা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা পুলিশের নেই৷ চাকরি চলে যাবে৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই পুলিশকে পিছু হঠতে হবে। এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে দুটো গুলি চালিয়ে দিত। তৃণমূলের বীর পুরুষরা উল্টো দিকে পালাত৷”
ক্যানিংয়ে অশান্তি নিয়ে এদিন তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ তিনি বলেন, “ক্যানিংয়ে এদিন দলীয় নেতৃত্ব প্রার্থীদের সঙ্গে মনোনয়ন কর্মসূচিতে গেলে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী আচমকা হামলা চালায়। সজল ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সহ অনেকেই হামলায় জখম হয়েছে। এটা নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে।”
মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ইটাহারে বিজেপি কর্মীদের জমায়েত স্থলে এসে দলীয় কর্মী ও প্রার্থীদেরদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেন সুকান্ত বাবু।

