আমাদের ভারত, ২১ জুলাই: বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় প্রয়াত হলেন প্রাবন্ধিক, বক্তা, এবং বামপন্থী চিন্তক আজিজুল হক। সোমবার দুপুরে প্রয়াত হলেন তিনি।
বাড়িতে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে শারীরিক পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যেতে থাকে। ভর্তি ছিলেন সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ভেন্টিলেশন সাপোর্টে দিন কেটেছে, শরীরে রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে মারাত্মকভাবে। একের পর এক জটিলতা কাটিয়ে ওঠার লড়াই চলছিল, কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না।
নকশালবাড়ি আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন আজিজুল হক, ভারতের সেই সময়ের বামপন্থী রাজনৈতিক মানচিত্রের এক উল্লেখযোগ্য নাম। চারু মজুমদারের মৃত্যুর পর সিপিআই (এম-এল)-এর দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। তাঁর লেখা “কারাগারে ১৮ বছর” বইটি নকশাল আন্দোলন ও সাতের দশকের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
আজিজুল হকের জীবনের একটি বড় অংশ কেটেছে জেলে। নানা অভিযোগে, যার মধ্যে বিতর্কিত হত্যাকাণ্ডও রয়েছে, তাঁকে কারারুদ্ধ করা হয়। ১৯৭৭ সালে মুক্তি পেলেও ১৯৮২ সালে আবার গ্রেফতার হন। ১৯৮৬ সালে জেলের মধ্যে তাঁর উপর হওয়া শারীরিক নির্যাতন এবং রাজ্য কারাগারগুলোর করুণ পরিস্থিতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির পর বামফ্রন্ট সরকারের দুই মন্ত্রী—দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও যতীন চক্রবর্তী—জেলে গিয়ে দেখা করে বলেন, তাঁর প্যারোলে মুক্তি পাওয়া উচিত।