আমাদের ভারত, ৭ এপ্রিল: লাউডস্পিকারে আজান দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। রাজ ঠাকরে মহারাষ্ট্র সরকারকে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে আজানের জন্য যদি লাউডস্পিকার বন্ধ করা না হয় তাহলে লাউডস্পিকারে হনুমান চালিশা বাজাবেন তারা। কথা মতো তেমনটা করেছেন তার দলের কর্মীরা। এবারে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন গায়িকা অনুরাধা পাড়োয়াল। তিনিও প্রশ্ন তুলেছেন মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে লাউডস্পিকারে আজান দেওয়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তাহলে ভারত কেন এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম?
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনুরাধা পাড়োয়াল বলেন, কর্মসূত্রে তিনি বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরেছেন। কিন্তু ভারতে যা হয় তেমন আর কোথাও হয় না। গায়িকার কথায়, “আমি কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু এখানে কিছু জিনিস নিয়ে বাড়াবাড়ি হয়।”
তিনি আরও বলেন, “জোরে জোরে লাউডস্পিকারে আজান দেওয়া হয় আর এর ফলে অন্যেরাও ভাবে আমরা কেন চালাবো না লাউডস্পিকার?” অনুরাধা বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম প্রধান দেশগুলিতে লাউডস্পিকারে আজান দেওয়া নিষিদ্ধ হলে ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এই নিয়ম কেন চালু থাকবে?
গায়িকার মতে, লাউডস্পিকারে উচ্চস্বরে আজান দেওয়ার জন্য ধর্মীয় রেষারেষি তৈরি হচ্ছে। একদল জোরে আজান চালানোয় অন্য দল দাবি করছে লাউডস্পিকারে জোরে হনুমান চালিশা বাজানো হবে। এতে বিতর্ক বাড়ছে। যা একেবারেই কাম্য নয়।
দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতি তাঁর বার্তা, তরুণ প্রজন্মকে নিজের দেশের ধর্ম, সংস্কৃতিকে গভীরভাবে জানতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হবে। সারা বিশ্বে এক সংস্কৃতির লোকেরা সবাই একসঙ্গে থাকেন। কিন্তু আমরা সংখ্যায় বেশি হয়েও একসঙ্গে নেই।” তার কথায়, “আগামী প্রজন্মকে আমাদের ধর্ম সম্পর্কে জানতে অনুপ্রেরণা দেওয়া উচিত। আমাদের জানা উচিত যে আমাদের ধর্ম গুরু আদি শংকরাচার্য। প্রত্যেক খ্রীষ্টান নিজের পোপের ব্যাপারে জানে। তাহলে আমাদের নিজেদের ধর্ম সংস্কৃতি নিয়ে জ্ঞান এত কম কেন? পুরান ধর্মগ্রন্থের মত বিষয়গুলি সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত।