অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ২৬ জানুয়ারি: শুক্রবার প্রায় ভোর থেকে একের পর এক অভিনন্দন-বার্তায় ভেসে যাচ্ছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ‘পদ্মশ্রী’ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নারায়ণ চক্রবর্তী। খবরটা তিনি দিল্লি থেকে পেলেও বৃহস্পতিবার রাতে প্রযুক্তিগত গণ্ডগোলের জন্য তাঁর নাম প্রাপকদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল না। গভীর রাতে আসে পূর্ণাঙ্গ তালিকা। তাতে ছিল তাঁর নাম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের ডাক।
এই ব্যস্ততার মধ্যেই তিনি এই প্রতিবেদককে জানালেন, শত শত বছর ধরে আয়ুর্বেদকে চেপে রাখা হয়েছে। অথচ, প্রাকৃতিক উপাদান থেকে ওষুধ তৈরির কথা লেখা আছে এই শাস্ত্রে। আয়ুর্বেদকে যাঁরা বিদ্রূপ করেন, তাঁরা এর সূচি কী, তা জানেন না। আজ বিশ্বের কাছে স্বীকৃতি পেয়েছেন শুশ্রুত। তাঁর উদ্ভাবিত চিকিৎসার জিনিস রাখা আছে নেপালের এক সংগ্রহশালায়।
নারায়ণবাবু বলেন, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক বিষয়ের ওপর আগেই আলোকপাত করেছে আয়ুর্বেদ। অস্ট্রেলিয়ার একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত হয়েছে তাঁর আবক্ষ মূর্তি। অক্সফোর্ড, কেম্ব্রিজও শুশ্রুত ও চরকের কথা স্বীকার করেছেন। এ কথা আমি অনেককে জানানোর চেষ্টা করেছি।
করোনার সময় সম্পূর্ণ দেশীয় জিনিস দিয়ে ভারতে প্রতিষেধক সফলভাবে তৈরি হয়েছে। করোনায় মৃত্যু হলে ২৪ ঘন্টা বাদে মরদেহে জীবাণু থাকে না। এসবের ওপর ৫০-এরও বেশি নিবন্ধ লিখেছি বিভিন্ন জায়গায়।
মৌলনা আজাদ কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান হিসাবে অবসর নেন, এরপর ওই কলেজে প্রাণীবিদ্যা বিভাগের স্নাতকোত্তর বিভাগের ভিজিটিং অধ্যাপক ছিলেন ডঃ নারায়ণ চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ জৈবপ্রযুক্তি উন্নয়ন নিগমের প্রাক্তন পরামর্শদাতা ও অন্যতম ডিরেক্টর। আর্সেনিক দূষণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লিখেছেন একাধিক প্রামান্য বই। এগুলোর মধ্যে ‘করোনা অতিমারির ইতিকথা’ এবং ‘ধর্ম শিক্ষা রাজনীতি’র যথেষ্ঠ নাম করেছে।