আমাদের ভারত, ১৩ মে: ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা কেন্দ্র কেনো পাঠাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদীকে এই ইস্যুতে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, চার মাসের বেশি সময় ধরে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর এর ফলেই বিরাট সমস্যা হচ্ছে কাজের ক্ষেত্রে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, এই প্রকল্পে এতটাই দুর্নীতি হয়েছে কেন্দ্রের অডিট টিম দেখে হতবাক। সেই কারণেই টাকা আসে না।
টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে, সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ১০০ দিনের কাজে বাংলা চরম দুর্নীতি হয়েছে। সেটা বারবার ধরাও পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এনআরইজিএর কাজে যত হাজার কোটি টাকার মাটি কাটা হয়েছে বাস্তবিক পক্ষে সেই পরিমাণ মাটি এক জায়গায় জমা করলে তা এভারেস্টের সমান হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গে এত মাটি আছে কিনা সন্দেহ, অর্থাৎ ১০০ দিনের কাজে শুধুমাত্র খাতায়-কলমে কাজ হয়েছে টাকা ঢুকেছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। এর ফলে সাধারন মানুষ বঞ্চনা ছাড়া কিছুই পাইনি। জব কার্ড হোল্ডার অন্যদল করেন বলে কাজ পাননি। সোশ্যাল অডিট হয়েছে। দিল্লি থেকে টিম এসে তদন্ত করে গিয়েছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এই কাজে চরম দুর্নীতি হয়েছে। সাংসদদের এগুলো দেখার কথা। কিন্তু এখানে সেসব কিছুই মানা হয় না, ফলে রাজ্যের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী প্রায়শই দাবি করেন কেন্দ্রের বঞ্চনার সত্বেও বাংলা ১০০ দিনের কাজের প্রথম স্থান অধিকার করে। এই প্রসঙ্গে কড়া সমালোচনা করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, বাংলা কথায় কথায় দাবি করে তারা নাকি এক নম্বর। আড়াইশো টাকার কাছাকাছি দেওয়া হয় এই কাজে। দেশে গুজরাট মহারাষ্ট্রের মতো শিল্পোন্নত রাজ্য আছে। এরা ১০০ দিনের কাজে পিছিয়ে কারণ এখানকার মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পান। তাই তাদের আড়াইশো টাকা কাজের জন্য ছুটতে হয় না। এর থেকে এটাই প্রমাণ হয় পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষের অন্য রাজ্যে তুলনায় কতটা পিছিয়ে।