আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৬ জানুয়ারি:
স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় স্ত্রীকে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল শ্বশুর বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এই ঘটনার জেরে ওই গৃহবধূকে খুনের চেষ্টা করে স্বামী, শ্বশুর ও ভাসুর। শুধু অবৈধ সম্পর্কই নয়, পনের দাবিতে তাঁর উপর নিয়মিত অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার টাকি পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রোজিপুর এলাকায়।
গত দু’বছর আগে রামেশ্বরপুর গ্রামের শ্রীকান্ত দাসের মেয়ে সাথী দাসের সঙ্গে টাকি পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রোজি পুরের বাসিন্দা দীপক দাসের ছেলে সুমন দাসের বিয়ে হয়। সেই সময় সাধ্যমত সোনার গয়না, আংটি, হার, কানের দুল, আসবাবপত্র নগদ ৩৫০০০টাকা দিলেও। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে আরও বেশি পণের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে সাথীর উপর। অভিযোগ, স্বামী সুমন দাস, শ্বশুর, ভাসুর সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এমনকি অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল।
পাশাপাশি ইদানিংকালে স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক জেনে ফেলায় সেই অত্যাচারের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। বুধবার শীতের রাতে গৃহবধূ সাথী দাস ও তার পুত্র সন্তানকে মারধর করে বের করে দেয় বাড়ি থেকে। ওই বধূর শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় গৃহবধূকে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
বধূ শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা। ইতিমধ্যে স্বামী শ্বশুর ও ভাসুরের বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার বাবা শ্রীকান্ত দাস। অবৈধ সম্পর্ক জেনে ফেলায় বা পণের দাবিতে খুনের চেষ্টা কি না তা তদন্ত শুরু করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। এর পিছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না সেটাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।