আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ১ ডিসেম্বর: জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক যুবককে কোপানোর অভিযোগ প্রতিবেশী এক নিকট আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জীবনতলা থানার হিরগড় এলাকায়। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন সিন্টু নস্কর নামে এক যুবক। তাঁকে বাঁচাতে এসে গুরুতর জখম হয়েছেন তাঁর মা শিবানী নস্কর। তাকেও কোপানো হয়। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে সিন্টুর এক নিকটআত্মীয় দাদা বাবলু নস্করের বিরুদ্ধে। আহত দুজনকেই উদ্ধার করে প্রথমে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল ও পরে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
অভিযোগ, পারিবারিক জমি নিয়ে বহুদিন ধরে বিবাদ চলছিল দুটি পরিবারের মধ্যে। এর আগে বাঁশরা পঞ্চায়েতের সদস্যরা এই সমস্যা মিটিয়ে দিলেও সেই সমস্যা পুরোপুরি ভাবে মেটেনি। একটি ঠাকুর ঘর তৈরির জমি নিয়েই কার্যত দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ বাঁধে। রবিবার সকালে সেই সমস্যা শুরু করেন বাড়ির মহিলারা। দুই পরিবারের মহিলারা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। তখন সিন্টু নস্কর গন্ডগোল থামাতে গেলে প্রতিবেশী বাবলু নস্কর ও তার পরিবারের সদস্যরা চড়াও হয় সিন্টুর উপর। বাবলু নস্কর সিন্টুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। সাথে সাথে সিন্টু অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে যায়। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে বারইপুর মহকুমা হাসপাতালে প্রথমে নিয়ে আসে, সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসার পর কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। সিন্টুর শরীরে বিয়াল্লিশটি সেলাই পড়েছে। গন্ডগোলের মুহূর্তে ছেলেকে আক্রান্ত হতে দেখে শিবানী নস্কর দৌড়ে আসেন। অভিযোগ তাকেও দা দিয়ে কোপানো হয়। তাকেও গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবলু নস্কর সহ মোট চারজনকে আটক করেছে জীবনতলা থানার পুলিশ।