আমাদের ভারত, হাবড়া, ৪ জুলাই: স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে আশায় তাঁকে তিন তালাক দেয় জামাই। পরে রাতের অন্ধকারে শ্বশুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার চেষ্টা করে জামাই। শ্বশুরের বাম হাতে কোপ লাগে। চিৎকার শুনে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। মুখে কালো মাক্স গায়ে লেদারের জ্যাকেট, অন্ধকারে ডাকাত ভেবে গণপিটুনি দেয় গ্রামের মানুষ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্বশুর ও জামাইকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জামাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। শুক্রবার গভীর রাতে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়া থানার কুমড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাকানিয়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত জামাইয়ের নাম হাসান মণ্ডল (২৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, হাবড়ার কুমড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাকানিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম মণ্ডলের মেয়ে রুবিনা খাতুনের সঙ্গে এক বছর আগে বিয়ে হয় বদর কুলতলা এলাকার বাসিন্দা হাসান মণ্ডলের। শ্বশুর ইব্রাহিম মণ্ডলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবি নিয়ে মেয়ে রুবিনার উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত জামাই। বাধ্য হয়ে দিন কয়েক আগে রুবিনা বাবার বাড়িতে চলে আসে।
বৃহস্পতিবার সকালে হাসান মণ্ডল শ্বশুরবাড়ি এলে তাঁর শ্বশুরের সঙ্গে বচসা হয়। স্ত্রী রুবিনা তাঁর সঙ্গে যেতে রাজি না হওয়ায় রুবিনাকে তিন তালাক দিয়ে চলে যায়। হাসান মণ্ডল তাঁর শ্বশুর ইব্রাহিম মণ্ডলকে খুন করবে বলে শুক্রবার গভীর রাতে রুবিনাদের বাড়ির ছাদে ধারালো অস্ত্র নিয়ে লুকিয়ে থাকে। রাতে যখন ইব্রাহিম বাইরে বের হন, তখন তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে জামাই। তাঁর বাম হাতে একটি কোপ এসে লাগে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে হাসানকে ধরে ফেলে। হাসানের মুখে মাক্স ও গায়ে লেদারের জ্যাকেট থাকায় অন্ধকারে চিনতে না পারায়, ডাকাত ভেবেই গণপিটুনি দেয় প্রতিবেশীরা।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসে হাবড়া থানার পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্বশুর ও জামাইকে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে, হাসপাতালের চিকিৎসক জানান মাথায় আঘাত লেগে জামাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। ইব্রাহিম মণ্ডল আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাবড়া হাসপাতালে ভর্তি।